আরো ধান কেনার ঘোষণাতেও খুশি নন রংপুরের কৃষক

    রংপুর ব্যুরো॥ কৃষক পর্যায়ে নতুন করে আরো আড়াই লাখ টন ধান কেনার সরকারি সিদ্ধান্তে কৃষক কতটুকু সুফল পাবেন তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।

    রংপুর অঞ্চলের কৃষকের দাবি, মৌসুমের শুরুতেই ন্যায্য মূল্যে ধান বিক্রি করতে না পেরে চরমভাবে লোকসানের মুখে পড়েছেন তারা। ধার দেনা মেটাতে পানির দরে বিক্রি করে দিয়েছেন উৎপাদিত ধানের বড় একটি অংশ। ইতোমধ্যে যা চলে গেছে মিলারদের হাতে।

    এ অবস্থায় নতুন করে ধান কেনার ঘোষণায় মধ্যস্বত্বভোগীরাই লাভবান হবেন। নতুন করে সরকারের দুই লাখ মেট্রিক টন ধান কেনার ঘোষণা বৃহত্তর রংপুর ও দিনাজপুর এলাকার কৃষকদের খুব একটা খুশি করতে পারছে না। কারণ বিগত দিনের তিক্ত অভিজ্ঞতা।

    পীরগঞ্জের জুয়েল মিয়া নামের কৃষক বলেন, যখন আমাদের কৃষকরা ধান কেনা-বেচা করে তখন কোনো ধানের দাম নেই।

    নগরীর তামপাট এলাকার আশরাফুল আলম নেতা নামের আরেকজন কৃষক বলেন, যেখানে ১৫শ’ টাকার বস্তা পাওয়ার কথা সেখানে ১ হাজার বা ৯শ’ পাওয়া যায়। এভাবে করে তো আমরা কৃষকরা মরে ভূত হয়ে যাব। সরকারের ঘরে ধান দিতে পারার ভাগ্যবান কৃষকের সংখ্যা খুবই কম। এবারও ধান দিতে পারবেন তারও নিশ্চয়তা নেই।

    বাহার কাছনার কৃষক মানিক মিয়া বলেন, আমরা তো সরকারের ধারে কাছেই যেতে পারি না। প্রতি কৃষকের কাছে ১২ মণ নিয়েছে, এতে আমার কি হবে?

    জানাগেছে, চলতি বছর বৃহত্তর রংপুর ও দিনাজপুরের ৮ টি জেলায় উৎপাদিত হয়েছে ৭ কোটি ৮ লাখ ধান। প্রথম দফায় তেইশ হাজার চার’শ চল্লিশ মণ ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রায় নির্ধারণ করা হলেও আড়াই লাখ টন যুক্ত করার পর নতুন লক্ষ্যমাত্রা এখনো আসেনি।

    বিএম/এসআর/এমআর