কোতোয়ালীতে সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেফতার

    মাদক মামলায় দুই বছরের সাজা প্রাপ্ত আসামী গোপাল দাশ (৪৪) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ।

    শুক্রবার রাতে চকবাজার মোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে নাম ও ঠিকানা পরিবর্তন করে দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।

    কোতোয়ালী থানা সূত্রে জানা যায়, গোপাল দাশ ১৯৯৬ সালে বিপুল পরিমানে মাদক সহ কোতোয়ালী থানায় গ্রেফতার হয়ে ৫ মাস কারাভোগ করে। মামলা চলাকালীন সময়ে বুঝতে পারে মামলার বিচারকার্য শেষে তার সাজা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় মামলার দায় হইতে মুক্তি পাওয়ার জন্য ২০০৮ইং সালে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরীর সময় নাম ঠিকানা পরিবর্তন করে প্রদীপ দাশ, পিতা-ভানু দাশ, সাং-মকবুল শুকারীর বাড়ী, ওয়ার্ড নং-২৮, থানা-ডবলমুরিং, জেলা-চট্টগ্রাম নামে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরী করে।

    মামলাটি ১৯৯৬ সাল হইতে ২০১৫ইং সাল পর্যন্ত বিচারকার্য শেষে বিজ্ঞ আদালত আসামীর বিরুদ্ধে ২ বছরের সাজা প্রদান করে। সাজা হওয়ার পর হইতে পুলিশের গ্রেফতার এড়ানোর জন্য তার মাদক ব্যবসা ও পূর্বের বসবাসের ঠিকানা পরিবর্তন করে একেক সময় একেক জায়গায় বসবাস করে। পেশা পরিবর্তন করে সে বর্তমানে সিএনজি অটোরিক্সা চালাত। মামলাটির বিচারকার্য চলাকালীন সময়ে তার কোতোয়ালী থানাধীন টেরীবাজার এলাকা হইতে বসবাসের ঠিকানা পরিবর্তন করে নতুন ঠিকানায় সে নতুন নামে তথা প্রদীপ দাশ নামে লোকজনের পরিচিতি গড়ে তোলে।

    বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন জানান, তার সাজা গ্রেফতারি পরোয়ানা কোতোয়ালী থানায় আসলে কোতোয়ালী থানার এএসআই মোঃ শাহাদাত হোসেন, বক্সিরহাট পুলিশ ফাঁড়ীর ফোর্সসহ আসামীকে ধরতে অভিযান পরিচালনা করে চকবাজার থানাধীন লাল চাঁন্দ রোডস্থ স্বপনের গ্যারেজ হইতে গতকাল রাতে তাকে গ্রেফতার করে।

    গ্রেফতারের পর আসামী তার নতুন নাম ঠিকানা প্রদান করে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। পুলিশের বুদ্ধিমত্তায় একার্যায়ে মামলার দায় হইতে বাচার জন্য নতুন নাম ঠিকানা দিয়ে ভোটার আইডি তৈরী সহ পেশা পরিবর্তনের কথা ও ১৯৯৬ সালে মাদকসহ গ্রেফতার হওয়ার বিষয় স্বীকার করে।

    বিএম/এমআর