চাকরির প্রলোভনে কিশোরীকে লাগাতার ধর্ষণ, গ্রেপ্তার চিকিৎসক

    গণধর্ষণ

    নরসিংদীতে বেসরকারি হাসপাতালে সেবিকার চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ডা. আশরাফ উদ্দিন জুলফিকার নামে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

    এ ঘটনায় নির্যাতিতা কিশোরীর মা বাদী হয়ে শুক্রবার (৩১ মে) নরসিংদী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

    পুলিশ অভিযুক্ত চিকিৎসক আশরাফ উদ্দিন জুলফিকারকে (৫০) আটক করেছে। অভিযুক্ত চিকিৎসক আশরাফ উদ্দিন জুলফিকার গাজীপুর জেলার হোতাপাড়ার মনিপুরের সিরাজুল ইসলামের ছেলে ও নরসিংদীর শীলমান্দি এলাকার সোনিয়া নীটওয়্যার নামক একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের আবাসিক মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত।

    পুলিশ ও নির্যাতিতার পরিবার জানায়, অভিযুক্ত চিকিৎসক নরসিংদীর শীলমান্দিতে ভাড়া বাসায় থেকে একটি স্যুয়েটার কারখানায় মেডিকেল অফিসারের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ছুটির দিনে ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে নিউলাইফ নামে একটি চিকিৎসক চেম্বারে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতেন। এ সুবাদে ওই চেম্বারে লিভারের রোগী স্থানীয় ওই কিশোরীর সঙ্গে পরিচয় ঘটে চিকিৎসক আশরাফ উদ্দিনের। পরে কিশোরীর লিভারের উন্নত চিকিৎসার পাশাপাশি একটি বেসরকারি হাসপাতালে সেবিকার চাকরি দেয়ার জন্য নার্সিং কোর্স করাতে তাকে গত ৩১ এপ্রিল তার নরসিংদীর শীলমান্দিস্থ সিরাজুল ইসলামের মালিকানাধীন ভাড়া বাসায় নিয়ে আসেন ওই চিকিৎসক।

    ওই বাসায় কিশোরীকে জোরপূর্বক প্রথমবার ধর্ষণ করা হয়। এরপর ওই বাসায় প্রায়ই তাকে ধর্ষণ করা হতো। ধর্ষণের এ ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য কিশোরীকে হুমকিও দেয় চিকিৎসক আশরাফ।

    শুক্রবার (৩১ মে) স্থানীয়রা কিশোরীকে নির্যাতনের ঘটনাটি টের পেয়ে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ওই কিশোরীকে উদ্ধার ও অভিযুক্ত চিকিৎসককে আটক করে। পরে ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। শনিবার দুপুরে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নির্যাতিতা কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে।

    নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দুজ্জামান বলেন, এই ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিৎসক আশরাফ উদ্দিন জুলফিকারকে আটকের পর আইনি পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

    বিএম/রনী/রাজীব