ভোরে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে মাঠে নামবে ব্রাজিল

    বলিভিয়াকে হারিয়ে শুরুটা ভালোই হয়েছে স্বাগতিক ব্রাজিলের। কিন্তু ম্যাচের ফল তো সবসময় পুরো গল্পটা বলতে পারে না। ৩-০ গোলের জয়েও কিছু কিছু জায়গায় খুঁত থেকে গেছে ব্রাজিলের। সাও পাওলোতে গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর ঘরের দর্শকদের দুয়ো শুনে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল তিতের দলকে। ওই ম্যাচে ব্রাজিলের প্রথম গোল এসেছিল ভিএআরের সাহায্যে পাওয়া পেনাল্টি থেকে। চার মিনিটে দুই ফিলিপ কুতিনিয়োর জোড়া গোল ও শেষে গ্রেমিও স্ট্রাইকার এভারটনের আরেক গোলে শেষে সহজ জয়ে মাঠ ছাড়ে ব্রাজিল।

    গ্রুপ ‘এ’ এর দ্বিতীয় ম্যাচে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে এবার ব্রাজিলের চ্যালেঞ্জ নিখুঁত হওয়া। আগের ম্যাচে ছিলেন না বার্সেলোনা মিডফিল্ডার আর্থার মেলো। এবার তিনি দলে ফিরছেন। তবে একাদশে থাকার সম্ভাবনা কমই। তাই ফার্নান্দিনহো, কাসেমিরো- দুই হোল্ডিং মিডফিল্ডার নিয়েই হয়তো ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে মাঠে নামবে ব্রাজিল।

    প্রতিপক্ষ ভেনেজুয়েলা প্রথম ম্যাচে পেরুর সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে। ব্রাজিলের বিপক্ষে তাদের রেকর্ড মোটেই আশা জাগানিয়া নয়। তবে ভেনেজুয়েলা ভালো করেই জানে এই ম্যাচ থেকে এক পয়েন্ট উদ্ধার করতে পারলে পরের রাউন্ডে যাওয়ার সম্ভবনা প্রবল হবে তাদের। তাতে অবশ্য বড় এক ধাক্কা খাবে ব্রাজিল। তাই অ্যাটাকিং থার্ডে আরেকটু ডাইরেক্ট অ্যাপ্রোচে যাওয়ার কথাই হয়তো ভাবছেন তিতে।

    সেক্ষেত্রে গ্যাব্রিয়েল হেসুস ফিরতে পারেন স্ট্রাইকিং রোলে। রবার্তো ফিরমিনোর লিংক আপ প্লে দারুণ, তবে তিনি ঠিক সেই অর্থে দুর্দান্ত গোল স্কোরিং স্ট্রাইকার নন। এভারটন গোল করেছেন আগের ম্যাচে, তাঁর সম্ভাবনাও বেড়েছে। তবে হেসুসেরই জুটি গড়ার কথা রিচার্লিসন ও ডেভিড নেরেসের সঙ্গে। রিচার্লিসন আগের ম্যাচে ছিলেন দুর্দান্ত। তার জায়গা পাকাই বলা যায়। আগের ম্যাচে ২০ বার গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল ব্রাজিল। এর মধ্যে ৫ বার অন টার্গেটে শট করেছিল তারা।

    ব্রাজিলের বিপক্ষে ভেনেজুয়েলার রেকর্ড যতই খারাপ হোক এই ম্যাচে তাদের সঙ্গী হচ্ছে আগের ম্যাচের আত্মবিশ্বাস। পেরুভিয়ানরা পুরো ম্যাচে ১৭ বার গোলে শট করেছে, গোল পাওয়াটা সময়ের ব্যাপারই মনে হচ্ছিল তাদের জন্য। কিন্তু রক্ষণে দারুণ মনোযোগী হয়ে শেষ পর্যন্ত পেরুকে আটকে দিয়েছিল ভেনেজুয়েলা। ডিফেন্ডার লুইস মাগো ৭৫ মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়ার পর ১০ জন নিয়েই ডিফেন্ড করে গেছে তারা। ব্রাজিলকেও তাই খুব বেশি ছার দেওয়ার কথা নয় ভেনেজুয়েলার রক্ষণের। তবে এবার তাদের খেলতে হবে মাগোকে ছাড়া। সেটাই বড় দুশ্চিন্তা ভেনেজুয়েলার জন্য।

    আগের ম্যাচে ব্রাজিলের রক্ষণকে সেভাবে পরীক্ষা দিতে হয়নি। অ্যালিসনও অবসর সময় পার করেছেন। ভেনেজুয়েলা কাউন্টার অ্যাটাকে বেশ উন্নতি করেছে গত কয়েক বছরে। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচেও সেই ছাপ ছিল। ভেনেজুয়েলা সেই ম্যাচ জিতেছিল ৩-১ গোলে। স্ট্রাইকার সলোমন রন্ডনকে আটকাতেও এবার আলাদা প্রস্তুতি নিতে হবে ব্রাজিলকে। সব মিলিয়ে তাই বলিভিয়ার চেয়ে আরেকটু কঠিন প্রতিপক্ষ পাচ্ছে এবার ব্রাজিল।

    দলের খবর
    ইনজুরি থেকে আর্থার ফিরেছেন স্কোয়াডে। দলের সঙ্গে অনুশীলন করেছেন। তবে একাদশে জায়গা পাওয়া নিয়ে সংশয় আছে। ডিফেন্ডার মাগোকে ভেনেজুয়েলা পাচ্ছে না আগের ম্যাচে লাল কার্ডের কারণে।

    হেড টু হেড
    শেষ ২৭ ম্যাচে ব্রাজিল হেরেছে মাত্র একবার। সেটাও গত বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে বেলজিয়ামের বিপক্ষে। আর ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ২৪ বার খেলে ব্রাজিল জিততে পারেনি মাত্র ৩ বার। এর মধ্যে ব্রাজিল হেরেছে মাত্র একবার। কোপাতে দুইদল মুখোমুখি হয়েছে ১৪ বার, প্রতিবারই জিতেছে ব্রাজিল।এই ম্যাচগুলোয় সবমিলিয়ে তারা করেছে ৬৪ গোল। বিপরীতে ভেনেজুয়েলা গোল দিয়েছে মাত্র চারটি।কোপা আমেরিকায় অবশ্য শেষ ১৪ ম্যাচে মাত্র দুইবার হেরেছে ভেনেজুয়েলা। আর শেষ ৮ ম্যাচে তাদের হার ১টিতে।

    বাংলাদেশ মেইল প্রেডিকশন ব্রাজিল ২-০ ভেনেজুয়েলা

     

    বিএম/এমআর