রংপুর ব্যুরো॥ রংপুরের পীরগাছা সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের শতবর্ষী বিভিন্ন প্রজাতির ৫টি মূল্যবান গাছ কর্তন করে আত্মসাতের পাঁয়তারার অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। নিয়ম নীতিকে তোয়াক্কা না করে টেন্ডার ছাড়াই গাছগুলো কর্তন করায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
এদিকে কর্তন করা গাছগুলো সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার যোগসাজসে একটি মহল রাতের আধারে হরিলুট করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করছেন এলাকাবাসী।
জানা যায়, উপজেলা সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিস সংলগ্ন শতবর্ষী একটি আম, দুটি রেইন্ট্রিসহ বিভিন্ন প্রজাতির ৫টি গাছ গত শনিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত কর্তন করা হয়। ওই গাছগুলোর মূল্য প্রায় পাঁচ লাখ টাকা বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) যোগসাজসে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন সহকারি ভূমি কর্মকর্তা (তহশীলদার) গাছগুলো কর্তন করেন। বর্তমানে গাছের গুল ও কান্ডগুলো আত্মসাতের উদ্দেশ্যে গোপনে বিক্রি করা হলেও ডালপালাগুলো পড়ে থাকতে দেখা যায়। সরকারি নিয়মনীতিকে তোয়াক্কা না করে নিজের ইচ্ছা মতো আত্মসাতের উদ্দেশ্যে শতবর্ষী গাছগুলো কেটে ফেলায় এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
ভূমি অফিস সংলগ্ন বাসিন্দা আব্দুর রহিমসহ অনেকে বলেন, বিনা টেন্ডারে শতবর্ষী ৫টি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।
ইউনিয়ন সহকারি ভূমি কর্মকর্তা বকুল মিয়া গাছগুলো কাটার পর কোন পরিমান না করেই রাখেন এবং রাতের আধারে গাছের গুলগুলো তহসিলদার বকুল মিয়ার বিশ্বস্ত্য লোকজন হরিলুট করে নিয়ে যায়। এসময় এলাকাবাসী বাধা দেবার চেষ্টা করলেও বকুল মিয়ার লোকজন তাদের নানা ভয়খীতি দেখান । ফলে শতবর্ষী গাছগুলো কর্তনের মাধ্যমে বৃক্ষ নিধন কর্মসূচী গ্রহণ করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
পীরগাছা সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশীলদার বকুল মিয়া বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে গাছগুলো কাটা হয়েছে।
পীরগাছা বন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সেকেন্দার আলী জানান, সরকারি জমির গাছ কাটতে বা বিক্রি করতে হলে বন বিভাগের পূর্বানুমতি নিতে হয়। কিন্তু ওই গাছগুলো কাটা ও বিক্রির ব্যাপারে বন বিভাগের কাছে কোনো ধরনের অনুমতি নেয়া হয়নি।
পীরগাছা উপজলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জান্নাত আরা ফেরদৌস বলেন, উপজেলা ভূমি অফিস নির্মাণের জন্য গাছগুলো কর্তন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমীন প্রধান বলেন, গাছ কর্তনের বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি আমি দেখছি।
বিএম/এসআর/এমআর