হ্যাকিংয়ের অভিযোগে গার্লস প্রায়োরিটি গ্রুপের অ্যাডমিন তাসনুভা আনোয়ারকে আটক করেছে সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পেইজ, গ্রুপ, ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি হ্যাক করার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া সালমান মোহাম্মদ ওয়াহিদের দেয়া তথ্য যাচাই বাছাই ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাসুনভা আনোয়ারকে আটক করা হয়।
এর আগে একই অভিযোগে ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে দুইবার তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ।
বুধবার বিকেলে কাউন্টার টেরোরিজমের একটি ইউনিট নগরীর চিটাগাং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি থেকে তাকে আটক করলেও বিষয়টি গোপন রাখা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এ সময় তাসনুভার সঙ্গে গার্লস প্রায়োরিটি গ্রপের আরেক অ্যাডমিন আমেনা বেগম চৈতীও ছিলেন।
নগর পুলিশের একটি সূত্রে জানা যায়, আজও তাসনুভা আনোয়ারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
তাসনুভা পরিচালিত গার্লস প্রায়োরিটি ফেসবুক গ্রুপটি Archived করে দেয়া হয়েছে।
সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট সূত্রে জানা যায়, ২৬ মে পাঁচলাইশ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তাসনুভা আনোয়ার, আমেনা চৈতী, সালমান মোহাম্মদ ওয়াহিদসহ কয়েক জনকে আসামি করে মামলা করেন ইসতিয়াক হাসান।
তার অভিযোগ, সালমান ও তার গ্রুপের কিছু সদস্য ইসতিয়াকের স্ত্রী জুহি চৌধুরীর নামে বিভিন্ন ফেক আইডি খুলে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করছে। তারা ১১ মে জুহি চৌধুরীর ফেসবুক আইডির বিপরীতে নকল ডেথ সার্টিফিকেট বানিয়ে তিনি মারা গেছেন বলে ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে রিপোর্ট করেছে। এ কারণে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জুহি চৌধুরীর কাছ থেকে ফেসবুক এক্সেস নিয়ে নেয়।
নগর গোয়েন্দা পুলিশ ও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট সূত্রে জানা গেছে, হ্যাকার সালমান মোহাম্মদ ওয়াহিদের সঙ্গে তাসনুভা আনোয়ারসহ গার্লস প্রায়োরিটি গ্রুপের অ্যাডিমনদের সখ্যতা রয়েছে।
অভিযুক্ত তাসনুভা আনোয়ার বলেন, সালমানের সঙ্গে আমাদের সখ্যতা রয়েছে ঠিকই কিন্তু আমরা কোনোভাবেই হ্যাকিংয়ের সঙ্গে জড়িত না। তিনি কোনো গ্রুপের আইডি হ্যাক করবেন তা আমাদের জানা ছিলো না।
সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার পলাশ কান্তি জানান, অভিযোগে তাসনুভাসহ কয়েকজনের নাম রয়েছে। তাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাসনুভাকে ডাকা হয়েছিলো। প্রয়োজনে তাকে আবারো ডাকা হতে পারে। এছাড়া হ্যাকার সালমানের তিন দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করলে তাসনুভা ও সালমানকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
যারা হ্যাকারদের সাথে সম্পর্ক রাখেন তাদের জন্য একটা সতর্কবার্তা হতে পারে। সাইবার সিকিউরিটির ব্যাপারে পুলিশ এখন অনেক বেশি তৎপর এবং কঠোর অবস্থানে।
বিএম/এমআর