১৩৬ রানে গুটিয়ে গেছে শ্রীলঙ্কা

    এমনিতেই শ্রীলঙ্কাকে এবার পাত্তা দিচ্ছেন না কোনো ক্রিকেট বিশেষজ্ঞই। কিন্তু ক্রিকেটে যেকোনো কিছুই সম্ভব। সেই সম্ভবের প্রতিজ্ঞা ছিল শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানদের। সেটা আর হল কোথায়! পাকিস্তানের পথে হেঁটে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে লঙ্কানরা অলআউট হয়েছে ১৩৬ রানে।

    আগেরদিন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১০৫ রানে অলআউট হয়েছিল পাকিস্তান। এদিন ৩১ রানে এগিয়ে থেকেও এশিয়ান প্রতিবেশীর পাশে থাকল লঙ্কানরা।

    সবশেষ প্রস্তুতি ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের যে পেস আক্রমণকে রীতিমতো ছাতু বানিয়ে ৪২১ রানের স্কোর গড়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই পেস আগুনে পুড়েই ছাই হল শ্রীলঙ্কা। ৬০ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর কোমর আর সোজা করতে পারেননি সাঙ্গাকারা-জয়বর্ধনদের উত্তরসূরিরা।

    নিউজিল্যান্ড পেসারদের মধ্যে ট্রেন্ট বোল্টকে নিয়েই বেশি চিন্তায় ছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু তাকে ছাপিয়ে আগুনের তাপটা বেশি ছড়ান ম্যাট হেনরি ও লোকি ফার্গুসন। প্রত্যেকেই নেন তিনটি করে উইকেট।

    ইনিংসের দ্বিতীয় বলে লাহিরু থিরিমান্নেকে দিয়ে শুরু। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৪৪ রান তুলে যা একটু প্রতিরোধ গড়েন অধিনায়ক দিমুথ করুণারত্নে ও কুশাল পেরেরা (২৯)।

    দুজন ফিরতেই ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয় শ্রীলঙ্কার লাইনআপ। ব্যর্থতার বৃত্তে একে একে পাঁচ ব্যাটসম্যান জায়গা করে নেন দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগেই। থিসারা পেরেরাকে নিয়ে সম্মান রক্ষার লড়াই শুরু করেন অধিনায়ক। কিন্তু স্কোর তিন অঙ্ক ছাড়াতেই ফেরেন পেরেরা (২৭)।

    অধিনায়ক হওয়ার পর যাকে নিয়ে এতো সমালোচনা, আলোক সামান্য পথ যেটুকু দলকে তার পুরোটাই একা দেখিয়েছেন করুনারত্নে। সঙ্গীর অভাবে ৮৪ বলে ৫৩ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন তিনি। ২০.৪ ওভার বাকি থাকতে ১৩৬ রানে থামে লঙ্কানদের ইনিংস।

    হেনরি ও ফার্গুসন ছাড়া কিউইদের অন্য চার বোলার নেন একটি করে উইকেট।

    বিএম/রনী/রাজীব