ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান মেয়রের

    চট্টগ্রাম মেইল : চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, রাজধানীতে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ঘটছে আশংকা জনক হারে। চট্টগ্রাম নগরেও ডেঙ্গুর আগ্রাসান দেখা দিতে পারে। তাই সময় থাকতে ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। এসব বিষয়ে বিশেষ নজর দিয়ে চসিক পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্য বিভাগকে দায়িত্বশীল ভুমিকায় অবতীর্ন হতে বললেন সিটি মেয়র।

    তিনি আজ বৃহস্পতিবার সকালে টাইগারপাস চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কার্যালয়ে চসিক বিভাগীয় ও শাখা প্রধানদের সাথে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে মেয়র এ আহবান জানান। মেয়রের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে নগর পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা, আলোকায়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও নগর অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং দেশব্যাপি ডেঙ্গুর প্রকোপ সম্পর্কিত বিষয়ে আলোচনা হয়।

    মেয়র সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন, এডিস মশার বংশবৃদ্ধির জন্য এখন উপযুক্ত সময়। ভারী বর্ষন কিংবা থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ার কারণে বাড়ীর আশপাশ, ফুলের টব, আবর্জনা ফেলার পাত্র, প্লাষ্টিকের পাত্র, পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাষ্টিকের ড্রাম,মাটির পাত্র, বালতি, টিনের কৌটা, ডাবের খোসা, নারিকেলের মালা, ব্যাটারী শেল, পলিথিন,চিপসের প্যাকেট এবং নালা-নর্দমায় জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে এডিস মশার প্রজননের স্থান। এক্ষেত্রে জনসচেতনতাকে সমাধিক গুরুত্ব দিলেন সিটি মেয়র।

    তিনি বলেন বর্যাকালে কোনো পাত্রেই পানি জমিয়ে রাখা যাবে না। তার ওপর বৃষ্টির পর বাড়ীর আশপাশে পানি জমিয়ে থাকলে তাও পরিস্কার করে ফেলতে হবে। জমে থাকা পানি ছাড়া এডিস মশা বংশবৃদ্ধি করতে পারে না।

    ডেঙ্গু রোগ সম্পর্কে নগরবাসীর মধ্যে জনসচেতনা সৃষ্টি কথা উল্লেখ করে সিটি মেয়র মশা-মাছির উপদ্রপ এবং মশা উৎপত্তি রোধে দীর্ঘমেয়াদী ওষুধ ছিটানোর ক্রাস প্রোগাম, মাইকিং, প্রচার পত্র বিলি, পত্র-পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রদান, শিক্ষা প্রতিষ্টান সমূহে সচেতনামূলক কর্মসূচি গ্রহন এবং নালা- নর্দমা পরিস্কারসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহনের নির্দেশ দেন।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়োজিত চিকিৎসকদেরকে জনমনে সচেতনতা সৃষ্টির কাজে নিয়োজিত হওয়ারও আহবান জানান মেয়র।

    বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চসিক প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা,প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ৃয়া, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল মহিউদ্দিন আহমদ, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার সেলিম আকতার চৌধুরী,স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার মোহাম্মদ আলী,মেমন মাতৃসদন হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাক্তার প্রীতি বড়ৃয়া, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মনিরুল হুদা,কামরুল ইসলাম ,সুদীপ বসাক,প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান যীশু, ও অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী প্রমুখ ।

    বিএম/রাজীব সেন..