ফাইনালে যেতে ২২৪ রান করতে হবে ইংল্যান্ডকে

দ্বাদশ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমি ফাইনালে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের মুখোমুখি ক্রিকেট ইতিহাসের সব থেকে সফল দল অস্ট্রেলিয়া। এরই মধ্যে ফাইনালে উঠেছে নিউজিল্যান্ড। ফাইনালের টিকিট নিশ্চিতের ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অজি দলপতি অ্যারন ফিঞ্চ। ৪৯ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে অজিরা তুলেছে ২২৩ রান। স্রোতের বিপরীতে একাই লড়েছেন স্টিভ স্মিথ।

প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ের আশায় পঞ্চমবারের মতো বিশ্বকাপ আয়োজন করেছে ইংল্যান্ড। আর ২৭ বছর পর বিশ্বকাপের সেমি ফাইনাল খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে ইংলিশরা। গ্রুপ পর্বের দু’দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে অজিদের বিপক্ষে ৬৪ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছিল ইংলিশরা।

বার্মিংহামের এজবাস্টনে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে তিনটায় শুরু হয় ম্যাচটি। ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করছে গাজী টিভি। এরই মধ্যে প্রথম সেমি ফাইনালে ভারতকে ১৮ রানে হারিয়ে ১৪ জুলাই লর্ডসের ফাইনালের টিকিট কেটেছে গতবারের রানার্সআপ নিউজিল্যান্ড।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই পথ হারায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। দলীয় ১৪ রানের মাথায় বিদায় নেন দলপতি ও ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ (০), ডেভিড ওয়ার্নার (৯) আর একাদশে নতুন আসা পিটার হ্যান্ডসকম্ব (৪)। এরপর দলের হাল ধরেন স্টিভ স্মিথ এবং অ্যালেক্স ক্যারি। এই জুটিতে আসে ১০৩ রান। জোফরা আর্চারের বাউন্স সামলাতে না পেরে আহত হন ক্যারি। হেলমেটে বল আঘাতের পর ক্যারির থুতুনি দিয়ে রক্ত ঝরে। ব্যান্ডেজ বেধে উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ক্যারি ৭০ বলে চারটি বাউন্ডারিতে করেন ৪৬ রান। মাঝে ০ রানেই বিদায় নেন মার্কাস স্টইনিস।

স্মিথ-গ্লেন ম্যাক্সওয়েল জুটিতে আসে ৩৯ রান। ম্যাক্সওয়েল ২৩ বলে দুটি চার আর একটি ছক্কায় করেন ২২ রান। প্যাট কামিন্স ৬ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন। সতীর্থদের যাওয়া-আসার মধ্যে উইকেটের একপ্রান্ত ধরে খেলতে থাকেন তিন নম্বরে নামা স্মিথ। তাকে সঙ্গ দেন পেসার মিচেল স্টার্ক। এই জুটিতে আসে আরও ৫১ রান।

ইনিংসের ৪৮তম ওভারে রানআউট হওয়ার আগে স্মিথ করেন ৮৫ রান। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি মিস করা স্মিথের ১১৯ বলে সাজানো ইনিংসে ছিল না কোনো ছক্কার মার, ছিল ছয়টি বাউন্ডারি। স্মিথের বিদায়ের পরের বলেই ফেরেন ৩৬ বলে একটি করে চার ও ছক্কা হাঁকিয়ে ২৯ রান করা স্টার্ক। নাথান লায়ন ৫, জেসন বেহেরনড্রফ ১ রান করেন।

ইংলিশ পেসার জোফরা আর্চার ১০ ওভারে ৩২ রান খরচায় তুলে নেন দুটি উইকেট। স্পিনার আদিল রশিদ ১০ ওভারে ৫৪ রানের বিনিময়ে পান তিনটি উইকেট। বেন স্টোকস ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি। ৮ ওভারে ৪৪ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন লিয়াম প্লাংকেট। ক্রিস ওকস ৮ ওভারে ২০ রান খরচায় তুলে নেন তিনটি উইকেট। মার্ক উড ৯ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে একটি উইকেট পান।

বিশ্বকাপে হেড টু হেড মোট ম্যাচ: ৮টি, ইংল্যান্ড জয়ী: ২টি। অস্ট্রেলিয়া জয়ী: ৬টি। মুখোমুখি দুই দল মোট ম্যাচ: ১৪৮টি, ইংল্যান্ড জয়ী: ৬১টি। অস্ট্রেলিয়া জয়ী: ৮২টি। ড্র: ০টি ম্যাচ, পরিত্যক্ত: ৩টি।

বিএম/এমআর