ফেরিতে ছাত্রের মৃত্যু, নৌ-মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি

কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাটে ভিআইপি’র জন্য সাড়ে ৩ ঘণ্টা ফেরি বন্ধ রাখায় অ্যাম্বুলেন্সে স্কুল ছাত্র তিতাসের মৃত্যুর ঘটনায় বিআইডব্লিউটিএ ও বিআইডব্লিউটিসির কোনো গাফিলতি ছিল কি- না, তা জানতে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়।

সোমবার (২৯ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় থেকে এ তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়।

নৌ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব শাহনেওয়াজ দিলরুবাকে এই কমিটির প্রধান করা হয়েছে।তদন্ত কমিটিকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুগ্ম সচিব আব্দুস সবুর মন্ডল নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মকর্তা নন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের যুগ্ম সচিব পদ-মর্যাদার কর্মকর্তা বলে জানা গেছে।

নড়াইল কালিয়া পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ট শ্রেণীর ছাত্র তিতাস ঘোষ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হওয়ায় প্রথমে ভর্তি খুলনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত বৃহস্পতিবার তাকে নেয়া হচ্ছিলো ঢাকা মেডিকেল কলেজে। চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রেখে দ্রুত ঢাকায় পৌঁছাতে অর্ধ লাখ টাকায় ভাড়া করা হয় আইসিইউ সম্বলিত অ্যাম্বুলেন্স।

রাত আট টায় মাদারীপুরের কাঠালবাড়ী ১নং ফেরী ঘাটে পৌঁছায় অ্যাম্বুলেন্সটি। তখন কুমিল্লা নামের ফেরিটি ঘাটেই ছিল। কিন্তু নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয়ের ওই কর্মকর্তার গাড়ি না আসা পর্যন্ত ফেরি ছাড়তে রাজি হননি ঘাট কর্তৃপক্ষ। কারণ ওই কর্মকর্তার ভিআইপি গাড়ি যাবার বার্তা দিয়েছিলেন মাদারিপুরের খোদ জেলা প্রশাসক ।

এঅবস্থায় মুমুর্ষু তিতাসকে বাঁচাতে স্বজনরা ফোন করেন জরুরি নাম্বার ট্রিপল নাইনে। সাহায্য চান ঘাটে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদেরও। অভিযোগ আছে, কারও অনুরোধই রাখেননি ঘাট কর্তৃপক্ষ ।

প্রায় তিন ঘণ্টা পর রাত পৌনে ১১ টার দিকে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের স্টিকার লাগানো সাদা রংয়ের নোহা মাইক্রোবাসটি আসার পর ফেরি ছাড়ে।
তবে ততক্ষণে বড্ড দেরি হয়ে গেছে। মস্তিস্কে প্রচুর রক্ষরণে মাঝ নদীতে থাকা আম্বুলেন্সেই মৃত্যু হয় তিতাসের।

বিএম/এমআর