রাউজানে র্শীষ স্থানে চুয়েট : ফলাফল বিপর্যয় কদলপুরের

    আমির হামজা, রাউজান প্রতিনিধি :  উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় গতবারের মতো এবারও শতভাগ পাসের হারের তালিকায় নেই চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তবে উপজেলার শীর্ষ স্থানীয় কলেজগুলোর মধ্যে সেরাদের তালিকার প্রথম চুয়েট স্কুল এন্ড কলেজ।

    এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাশের হার ৯৯.৪০%। মোট ১৬৬ জন শিক্ষার্থী দিয়ে এবার পাস করেছে ১৬৫ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৮ জন শিক্ষার্থী। ফলাফলে এবার সবার নিছে আছেন বিনাজুরী নবীন স্কুল এন্ড কলেজ ২৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন মাত্র ৭ জন আর ফেল করেছে ১৯ জন।

    অন্যদিকে গত বছর চুযেটকে চমক দেখিয়ে সেরা স্থান দখলে নেওয়া উপজেলার কদলপুর স্কুল এন্ড কলেজে ঘটেছে ফলাফল বিপর্যয়। গতবার কলেজটি থেকে ৪৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে ৪৩ জন্তই পাস করেছে। একজন মাত্র শিক্ষার্থী ফেল করায় পাসের হার ছিল ৯৭.৭৩%। তবে এবার এ কলেজ থেকে মোট ৪৬ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে মাত্র ২৬ জন। ২০ জন পরীক্ষার্থী ফেল করায় পাসের হার দাড়িয়েছে ৫৬.৫২%। স্থানীয় লোকজন গত ২০১৮ সালে যে কলেজটি সবার মুখে মূখে শুনাম অর্জন করেছে। এবার ফলাফল বিপর্যয়ে ‘হিসাব-সমিকর’ কিছুই মেলাতে পারছেনা।

    তাছাড়া গহিরা ডিগ্রী কলেজ থেকে মোট ২৮৮ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছেন ১২০ জন তাদের মোট পাসের হার ৪১.৬৭%। হাজী বাদশা মাবিয়া কলেজ থেকে মোট ১০৫ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছেন ৪৬ জন তাদের মোট পাসের হার ৪৩.৮১%। দেওয়ানপুর এস.কে.সেন.স্কুল এন্ড কলেজ থেকে মোট ৫৭ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছেন ৩৬ জন পাসের হার ৬৩.১৬%।

    আশালতা কলেজ থেকে ৫১ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করে ১৭ জন পাসের হার ৩৩.৩৩%। অগ্রসার গার্লস ডিগ্রী কলেজ থেকে মোট ১২৬ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করে ৫৮ জন পাসের হার ৪৬.০৩%। হয়রত ইয়াছিন শাহ পাবলিক কলেজ থেকে ১০৭জন অংশগ্রহণ করে পাস করেন ৩২ জন তাঁদের পাসের হার ২৯.৯১%। কুন্ডেশ্বরী গার্লস কলেজ থেকে মোট ৯৮ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করে ৫৪ জন পাসের হার ৫৫.১০%।

    রাউজান সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে মোট ৮৫৬ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেন ৪০১ জন , জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩ জন তাদের মোট পাসের হার ৪৬.৮৫%। নোয়াপাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে মোট ৮০৩ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছেন ৩৪৫ জন তাদের পাসের হার ৪২.৩৯৬%।

    ইমাম গাজ্জালী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে মোট ৫৩৩ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছেন মোট ২২১ জন তাদের পাসের হার ৪১.৪৬%।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো: তহীদুল তালুকদার জানান, এবার উপজেলায় ৩ হাজার ২শ ৬২জন শিক্ষার্থী পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ১ হাজার ৫শ ২৮ জন। গড় পাসের হার ৪৭%। তবে কলেজরে চাইতে ফলাফলে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা অনেক বেশি ভালো ফলাফল অর্জন করেছে বলে জানান তিনি।

    বিএম/আরএস..