পরিবারের ৭ সদস্যের মধ্যে একজন প্রতিবন্ধী ছেলে, ছোট দুই ছেলে সোহা স্কুলে পড়ে, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
এই সাতজনের জীবন পরিচালিত হয় শুধুমাত্র রাস্তার ধারে বসানো একটি লেবুর শরবতের দোকান থেকে। এই সংগ্রামী নারী নাম আখেদা বেগম (৫৫)।
ভোক্তা এই শহরের সাধারণ মেহনতি মানুষ৷
দিনে যা আয় হয় তা দিয়ে পরিবার মোটামুটি চলছিল উনার৷
হঠাৎ গত কিছুদিন আগে দেখতে পান হাতে ঘামাচির মত কিছু বিচি পাঁচড়া এরপর সেগুলো পেকে হাত থেকে পুঁজ,পানি এবং ভিতরে চুলকানোসহ নানান সমস্যা দেখা দেয়। বর্তমানে হাত দুটি পঁচে যাওয়ার অবস্থা । তাও থেমে থাকেনি জীবন সংগ্রাম।
সঠিক চিকিৎসা না হলে এ দুটি হাত হয়তো অন্যের বোঝা হয়ে যাবে না খেয়ে থাকতে হতে পারে সাতজন মানুষকে।
এরপরও তিনি থেমে নেই, শত ব্যথা বেদনা নিয়ে, হাতে কাপড় মুড়িয়ে করে যাচ্ছিলেন পারিবারের জন্য আয় কিন্তু বর্তমানে তাও পারছেন না কারণ এ দুটি হাতে কোন কিছুর স্পর্শ লাগলে ব্যথায় ছটফট করতে থাকেন তিনি।
৫৫ বছর বয়সী একজন সংগ্রামী নারীর গল্প এটি।
গল্পটি কেমন তা জানিনা তবে এই ব্যবসা চালিয়ে গেলে ওনার হাত ভালো হওয়ার সম্ভবনা ক্ষীণ ।
পরিবারটির বর্তমান অবস্থা খুবই নাজুক।
মায়ের কিছু হলে সন্তানদের পড়ালেখা এবং আহার বন্ধ হয়ে যাবে।
বর্তমানে আখেদা বেগমের চিকিৎসায় সহযোগীতা করছে আলোর আশা ফাউন্ডেশন। আখেদা বেগমের পরিবারকে সহযোগীতা করতে চাইলে সোহা স্কুল এবং আলোর আশা ফাউন্ডেশনের পরিচালক মুরাদ শামসুল আলম খান(০১৬৭৪-০৭৮১৪৬)’র সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ করেছেন আখেদা বেগম।
বিএম/এমআর