হরতাল নামক অস্ত্রটি মরিচা ধরায় অকার্যকর হয়ে গেছে : কাদের

    ‘হরতাল এখন বড় আন্দোলনের অস্ত্র নয়; এই অস্ত্রে মরিচা ধরে গেছে। হরতাল নামক অস্ত্রটি মরিচা ধরায় অকার্যকর হয়ে গেছে। কারণ দেশের মানুষ এখন বাস্তবতাটা বোঝে।’

    রোববার (৭ জুলাই) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর এক সভা শেষে এ কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

    কিনি বলেন,‘হরতাল এখন বড় আন্দোলনের অস্ত্র নয়; এই অস্ত্রে মরিচা ধরে গেছে। হরতাল নামক অস্ত্রটি মরিচা ধরায় অকার্যকর হয়ে গেছে। কারণ দেশের মানুষ এখন বাস্তবতাটা বোঝে।’

    কাদের বলেন, বাম গণতান্ত্রিক জোটের ডাকা অর্ধ দিবস হরতালে জনগণের কোন সাড়া নেই।

    ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘হরতালে আবেদন বা সাড়া কেউ কি কোথাও দেখেছেন? বরং ঢাকা শহরে যানজটের চিরপরিচিত প্রতিদিনের দৃশ্যপট বিরাজমান। তারা মনে করছেন, হরতালের মাধ্যমে দেশে বড় আন্দোলন করা যাবে; তাদের হিসাবের অঙ্কে গুড়ে বালি!’

    তিনি বলেন, ‘আমি গ্যাসের বিষয়ে বলতে চাই—এই গ্যাসের মূল্য সমন্বয় করার জন্য মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। সরকার গ্যাসে আগে ভর্তুকি দিত, এখনো ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। কাজেই এটা (মূল্য বৃদ্ধি) যুক্তিসংগত।

    গ্যাসের দাম বৃদ্ধির পেছনে এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) কোম্পানিকে সুবিধা দেওয়াই সরকারের মূল লক্ষ্য— বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা সরকার বিরোধীদের কথা, বিরোধী দল বলার জন্য বলছে।

    সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় ১৫ আগস্ট সামনে রেখে শোকের মাসে মাসব্যাপী কর্মসূচি, জাতীয় সম্মেলনের সাংগঠনিক প্রস্তুতি, বিভিন্ন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী বিরুদ্ধ আচরণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

    তিনি বলেন, সদস্য সংগ্রহ অভিযান সম্ভাব্য ২১ জুলাই শুরু হবে। তবে এর আগে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করা হবে।

    স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিষয়ে আসকারা পায়; তাই শৃঙ্খলা ভঙ্গ বেড়ে যাচ্ছে। সেটার লাগাম টেনে ধরতে চাই। এ বিষয়ে ওয়ার্কিং কমিটির মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হবে। কেউ এমপি-মন্ত্রী হয়ে দলের বিরুদ্ধে কাজ করলে তাকে মনোনয়ন না দেওয়া, কম গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হতে পারে। নানা রকম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, এ কে এম এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আইন সম্পাদক আ স ম রেজাউল করিম, ত্রাণ ও দুর্যোগ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আব্দুস সবুর, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, সদস্য এস এম কামাল, মারুফা আক্তার পপি।

    বিএম/এমআর