ইউরোপের বর্ষসেরা ভার্জিল ভ্যান ডাইক

    ২০১৮-১৯ মৌসুমের ইউরোপের বর্ষসেরার পুরস্কার জিতলেন ভার্জিল ভ্যান ডাইক। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসিকে পেছনে ফেলে প্রথমবারের মতো উয়েফার বর্ষসেরা অ্যাওয়ার্ড জয়ের অবিস্মরণীয় কীর্তি গড়লেন লিভারপুলের এই ডাচ ডিফেন্ডার। পাশাপাশি বর্ষসেরা ডিফেন্ডারের পুরষ্কারও জিতেছেন তিনি। আর বর্ষসেরা নারী ফুটবলার হয়েছেন ইংলিশ তারকা লুসি ব্রোঞ্জ।

    লিভারপুলের জার্সিতে দুর্দান্ত একটি মৌসুম কাটিয়েছেন ভ্যান ডাইক। গত মৌসুমের প্রিমিয়ার লিগের সেরা খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হয়েছেন। ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে শেষ ৬৪ ম্যাচে তাকে ড্রিবলে কেউ পরাস্ত করে গোল করতে পারেননি। লিভারপুলের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ে রেখেছেন মুখ্য ভূমিকা। জাতীয় দলের জার্সিতেও সফল। নেদারল্যান্ডসকে ন্যাশনস লিগের ফাইনালে ওঠানোর পেছনেও দারুণ ভূমিকা ছিল তার। তাই মেসি-রোনালদোর মতো বড় তারকাদের পেছনে ফেলে ইউরোপ সেরা কীর্তি ভ্যান ডাইকেরই।

    তবে এ পুরষ্কার পেতে বেশ কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে হয়েছে ডাইককে। বরাবরের মতো গত মৌসুমটাও দারুণ কাটিয়েছেন মেসি। ৫১ ম্যাচ খেলে গোল করেছেন ৫০টি। ইউরোপের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কারও জিতেছেন তিনি, স্প্যানিশ লিগের তো বটেই। তবে দলগত দিক দিয়ে সফলতা না পাওয়াই কাল হয়েছে এ আর্জেন্টাইন তারকার। জাতীয় দলের হয়ে ব্যর্থ ছিলেন। ক্লাবের হয়ে জিতেছেন কেবল লিগ শিরোপা। গতবার এই পুরস্কার পাওয়ার দৌড়ে পঞ্চম অবস্থানে ছিলেন মেসি।

    গত মৌসুমটা দারুণ কাটিয়েছেন রোনালদোও। জুভেন্টাসের হয়ে সিরিএ লিগ শিরোপাসহ জিতেছেন সুপার কাপও। জাতীয় দলেও সফল। জিতেছেন দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক শিরোপা। নতুন চালু হওয়া উয়েফা ন্যাশনস লিগ জিতেছেন ভ্যান ডাইকের নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে। পুরো মৌসুমে ৪৩ ম্যাচ খেলে গোল করেছিলেন ২৮টি।

    সম্মানসূচক প্রেসিডেন্ট অ্যাওয়ার্ড: এরিক কন্তেনা

    ইউরোপের বর্ষসেরা গোলরক্ষক: অ্যালিসন বেকার

    ইউরোপের বর্ষসেরা ডিফেন্ডার: ভার্জিল ভ্যান ডাইক

    ইউরোপের বর্ষসেরা মিডফিল্ডার: ফ্রাঙ্কি ডি ইয়ং

    ইউরোপের বর্ষসেরা ফরোয়ার্ড: লিওনেল মেসি

    ইউরোপের বর্ষসেরা মহিলা ফুটবলার: লুসি ব্রোঞ্জ

    ইউরোপের বর্ষসেরা ফুটবলার: ভার্জিল ভ্যান ডাইক

    বিএম/এমআর