কাশ্মীর প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি রাহুল গান্ধীসহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে

    কাশ্মীরের পরিস্থিতি দেখতে সেখানে যেতে চেয়েছিলেন কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী। সঙ্গে ছিলেন ভারতের বিরোধী দলের ১১ নেতা। কিন্তু শ্রীনগর বিমানবন্দরে পৌঁছালেও তাঁদের ভেতরে যেতে দেওয়া হয়নি। বিমানবন্দর থেকেই তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে দিল্লিতে।

    বার্তা সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, শ্রীনগর থেকেই রাহুল গান্ধীসহ ১২ নেতাকে ফেরত পাঠিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন। আজ শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে শ্রীনগর বিমানবন্দরে পৌঁছান রাহুল গান্ধীসহ অন্য নেতারা।

    তবে রাহুল গান্ধীসহ বিরোধী নেতারা শ্রীনগর পৌঁছানোর আগেই তাদের যাওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন।

    কাশ্মীরের জনসংযোগ দপ্তর টুইট বার্তায় জানায়, রাজনৈতিক নেতাদের এ মুহূর্তে শ্রীনগর সফর না করাই উচিত। কারণ তাঁরা অন্য লোকদের অসুবিধায় ফেলবেন। এটা এমন একটা সময় যখন জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষকে সীমান্ত সন্ত্রাস ও জঙ্গি হামলার হুমকি থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করছে।

    রাহুল গান্ধীর সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ, কে সি বেণুগোপাল, আনন্দ শর্মা, তৃণমূল কংগ্রেসের দীনেশ ত্রিবেদী, সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআইয়ের ডি রাজা, ডিএমকের তিরুচি শিবা, আর জে ডির মনোজ জা, এনসিপির মজিদ মেনন, জেডিএসের কুপেন্দ্র রেড্ডি এবং লোকতান্ত্রিক জনতা দলের শরদ যাদব।

    প্রশাসনের ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছেন ওই বিরোধী নেতারা। গুলাম নবি আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা তো আইন ভাঙতে আসিনি।’ মনোজ ঝা বলেন, ‘কিছু লুকানোর না থাকলে প্রশাসন আমাদের যেতে দিচ্ছে না কেন?’

    ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ তুলে নেওয়ার পর জম্মু-কাশ্মীরকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্ত জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন কোনোভাবেই বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের জম্মু-কাশ্মীরে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না।

    এর আগে কংগ্রেস নেতা সাংসদ গুলাম নবি আজাদ দুবার কাশ্মীরে যাওয়ার চেষ্টা করলেও শ্রীনগর বিমানবন্দর থেকে দিল্লি ফিরে আসতে হয় তাঁকে।

    সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি ও সিপিআই সাংসদ ডি রাজাও কাশ্মীরে ঢুকতে গিয়ে ব্যর্থ হন।

    এদিকে কাশ্মীরের ‘বিশেষ মর্যাদা’ রদের পরই রাজ্যটির অন্যতম বিরোধী নেতা ও সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ, ওমর আবদুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতিকে গৃহবন্দি করে রাখার পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

    এ অবস্থায় কিছুদিন আগে রাহুল গান্ধী অভিযোগ করে বলেছিলেন, ‘জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের গণতন্ত্র বিপন্ন। সেখানকার মানুষ নিপীড়িত। অথচ কেন্দ্রীয় সরকার সেই খবর সামনে আসতে দিচ্ছে না।’

    বিএম/এমআর