চট্টগ্রাম মেইল : চট্টগ্রামে চাচাত বোনের ৯ বছরের স্কুল পড়ুয়া শিশু কণ্যাকে জোর পূর্বক ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে ধর্ষক মামা।
থানায় অভিযোগ পাওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার (২৬ আগস্ট) ভোররাতে বন্দর থানাধীন মাইলের মাথা এলাকার ইয়াসমিন ভবনের ৫ম তলায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে বন্দর থানা পুলিশ।
গ্রেফতার ধর্ষকের নাম মো. রমজান হোসেন ছোটন (১৬)। তিনি ভোলা জেলা সদরের কোরালিয়া পাটোয়ারী বাড়ীর মো. ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে। সে বন্দর থানাধীন মাইলের মাথা এলাকার নিহত শিশুটির বাসার উপর তলার এক বাসায় থেকে বেগমজান উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯ম শ্রেণীতে পড়াশুনা করতো বলে জানা গেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার বিকেল ৩ টা থেকে ৫টার মধ্যে বন্দর থানার ব্যাংক কলোনি এলাকার ডাস্টবিন গলিতে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় ৯ বছরের শিশুটিকে। শিশুটি মাইলের মাথা এলাকায় হালিমা চিশতি কিন্ডারগার্টেনে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। নিহত শিশুটির মায়ের আপন চাচাতো ভাইয়ের হাতেই খুন হন শিশুটি।
বন্দর থানার ওসি সুকান্ত চক্রবর্ত্তী বলেন, নিহতের পরিবার এবং হত্যাকারী দুজনের পরিবারেই রয়েছে আত্মীয়ের সম্পর্ক। নিহত শিশু কণ্যার পিতা মাতা দুজনই চাকরিজীবি হওয়ায় তারা প্রায়সময় বাসায় থাকেন না। ফলে স্কুল থেকে ফেরার পর নিহত শিশুটি নিচের ৩য় তলার তার মামা ছোটনের বাসায় গিয়ে পড়াশুনা করতো।
গত রবিবার ছোটনের বাসাতেও কেউ না থাকায় খালি ঘরে শিশুটিকে জোর করে ধর্ষণ করে ছোটন। পরে এ ঘটনাটি পরিবারের সদস্যদের জানিয়ে দেবে বললে শ^াসরোধ করে হত্যা করা হয় শিশুটিকে। হত্যার পর লাশ ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখে।
রাতে মেয়েটির বাবা মা বাসায় এসে মেয়েকে এ অবস্থায় দেখে থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে এবং আশে পাশের সকলের সাথে কথা বলে ছোটনকেই সন্দেহ হলে তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়।
থানায় ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ছোটন ধর্ষণের পর হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন। এই ঘটনায় নিহত শিশুর মা হাজেরা বিবি বাদী হয়ে রবিবার রাত সাড়ে ১১ টার সময় বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/০৩) এর ৯(২) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৩৯। ধর্ষক ও হত্যাকারী ছোটনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হবে বলে জানান ওসি।
বিএম/আরএস..
আরো : আসমাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে ৪ যুবক
