চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা তাঁতীদলের সাথে মতবিনিময় সভায় সরাফত আলী সপু

    বাংলাদেশ মেইল, চট্টগ্রাম : বিএনপির কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক সরাফত আলী সফু বলেছেন, ছাত্রলীগ-যুবলীগ সারা দেশে চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজি, অত্যাচার-নির্যাতন ও মানুষকে গুম করে টাকা ছিনিয়ে নিয়ে দেশকে এক অরাজক রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। এই সরকার একটি অসাংবিধানিক সরকার। তারা সত্যিকার অর্থে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেন না। তারপরও তারা জোর করে ক্ষমতায় টিকে আছেন। জনগণের কাছে জবাবদিহিতা না থাকায় যুবলীগ ছাত্রলীগের নেতারা এখন দুর্নীতিতে ডুবে গেছে। যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদের অবৈধ ক্যাসিনো থেকে মদ, জুয়ার বিপুল টাকা উদ্ধার করা হচ্ছে। দুর্নীতির কারণে ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদককে অপসারণ করতে বাধ্য হয়েছে সরকার। দুর্নীতিতে নিমজ্জিত আওয়ামীলীগের মুখোশ খুলে গেছে। আওয়ামীলীগের দুর্নীতি এখন মহামারি আকার ধারণ করেছে।

    ( ১৯ সেপ্টেম্বর)  বৃহস্পতিবার বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা তাঁতীদলের এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। এতে তিনি আরো বলেন, ৩০ ডিসেম্বর জালিয়াতির নির্বাচনে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলকারী সরকারের অপকর্মের জবাব দিতে চট্টগ্রামে তাঁতীদলকে সুসংগঠিত হতে হবে। সরকারের শত জুলুম নির্যাতনকে উপেক্ষা করে ভয়কে জয় করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। গণতন্ত্র ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে তাঁতীদলকে ভ্যানগার্ডের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে।
    এতে প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বেগম খালেদা জিয়া এক বছর সাত মাস ধরে কারাগারে বন্দি। একটি বানোয়াট মিথ্যা মামলায় তাঁকে সাজা দেয়া হয়েছে। তাঁর শরীর খুবই খারাপ। কিন্তু তারপরও এই অমানবিক সরকার বিভিন্ন কৌশলে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আদালতকে ব্যবহার করে বেগম খালেদা জিয়ার জামিন প্রক্রিয়া বারবার বাধাগ্রস্ত করছে। কারণ বেগম খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তাকে এই সরকারের সবচেয়ে বেশি ভয়। তিনি বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে চট্টগ্রামবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করে তাঁতীদলকে অগ্রণী ভূমিকা রাখার আহবান জানান। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা তাঁতীদলের আহবায়ক মোহাম্মদ ছিদ্দিক মিয়ার সভাপতিত্বে ও চট্টগ্রাম মহানগর তাঁতীদলের আহবায়ক মনিরুজ্জামামন টিটুর পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. রফিকুল ইসলাম হেলালী, অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় তাঁতী দলের যুগ্ম আহবায়ক গোলাম মওলা খান বাবলু। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, শাহেদ বক্স, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সভাপতি মঞ্জুর রহমান চৌধুরী, নগর বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম পেয়ারু, আবদুল হালিম স্বপন, সহ দপ্তর সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী, সহ শ্রম সম্পাদক আবু মুসা, দক্ষিণ জেলা তাঁতী দলের আহবায়ক নুরুল আবছার, নগর তাঁতী দলের সদস্যসচিব মনিরুজ্জামান মুরাদ, তাঁতীদল নেতা মো. ফখরুদ্দিন, শহিদুল ইসলাম রানা, মো. সেলিম হাফেজ, মো. জসিম উদ্দিন, মো. আইয়ুব, মো. শাহ আলম, জাহাঙ্গীর আলম, নিজাম উদ্দিন খান, কে এম জিয়াউর রহমান, মো. মনির হোসেন, নজরুল ইসলাম, আবুল কাসেম প্রমুখ।