জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের সুপারিশ বাস্তবায়নে টাস্কফোর্স গঠন

    সড়ক মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ও নিরাপদ রাখতে জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের ১১১ দফা সুপারিশ বাস্তবায়নে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে।

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এই টাস্কফোর্স কার্যক্রম শুরু করবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

    বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টায় রাজধানীর বনানীস্থ বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের ২৭তম সভা শেষে তিনি এসব কথা জানান।

    ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সভাপতি করে শক্তিশালী এ টাস্কফোর্স গঠন করার সিদ্ধান্ত করা হয়েছে। এই টাস্কফোর্সের সদস্য সংখ্যা ২৬ জনেরও বেশি হবে। টাস্কফোর্সে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ডিএমপি, হাইওয়ে পুলিশ, বিআরটিএ, বিআরটিসিসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সদস্য হিসেবে থাকবেন।

    এছাড়া বিশিষ্ট কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ ও নিরাপদ সড়ক চাই এর প্রধান ইলিয়াস কাঞ্চন টাস্কফোর্সের সদস্য হিসেবে থাকবেন।’

    তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পারব না, এ কথা ঠিক নয়। আমরা ইতোমধ্যে বহু ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ও আইন বাস্তবায়ন করেছি। তাই আমরা সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাবোই।

    সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু উদ্যোগ গ্রহণ করলেই হবে না, বাস্তবায়ন করতে হবে। দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে মহাসড়কে সার্ভিস লেন তৈরি করা হবে। মহাসড়কে চালকের জন্য বিশ্রামাগার তৈরির প্রকল্প একনেকে পাস হয়েছে। এছাড়া বহুল প্রতিক্ষীত ঢাকা সিলেট মহাসড়ক চার লেনে উন্নতি করতে এডিবি (এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক) অর্থ দেবে।’

    সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘পরিবহন মালিক ও শ্রমিক এবং সংশ্লিষ্ট কমিটির সবার মতামতের ভিত্তিতে সড়ক পরিবহন আইনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী সপ্তাহে এ ব্যাপারে সবাইকে জানানো হবে।’

    সভায় পুলিশেরআইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, ‘ট্রাফিক আইন না মানার সংস্কৃতি পুলিশ দিয়ে কন্ট্রোল সম্ভব নয়। আইন মানতে হবে। মানুষকে আইন মানতে সচেতন করতে হবে। তাহলেই সব সমস্যা সমাধান হবে।’

    ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘আইন না মানার সংস্কৃতির কারণে সড়কে বিশৃঙ্খলা। ফলে সেবা সংস্থার পরিবর্তে ডিএমপি রাজস্ব আদায়ের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। আমরা চাই না ডিএমপি রাজস্ব আদায়ের প্রতিষ্ঠান হোক, একটি সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান হোক এটা চাই।’

    সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন ও সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান প্রমুখ।

    বিএম/এমআর