তুচ্ছ ঘটনায় মারামারিতে জড়ালো কুবি ছাত্রলীগের দু’পক্ষ

    কুবি প্রতিনিধি : তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ছাত্রলীগের দু’পক্ষের নেতাকর্মীদের মাঝে মারামারি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাত ৯ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার সূত্রপাত হয় শহর থেকে ক্যাম্পাসমুখী রাত ৮ টার বাসে ওঠার লাইনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে। তারা জানান, শাখা ছাত্রলীগের কাজী নজরুল ইসলাম হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক শিপন (নৃবিজ্ঞান ১১তম ব্যাচ) ও শহীদ ধীরেন্দনাথ দত্ত হলের ছাত্রলীগ কর্মী জিলান আল সাদ ঈশান (পদার্থ ১১তম ব্যাচ) এর মাঝে লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়।

    এক পর্যায়ে জিলান শিপনকে মারধর করে। পরে আবার শিপন জিলানকে মারধর করে। অতঃপর বাসটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে এসে থামলে শাখা ছাত্রলীগের ঐ দুই হলের কতিপয় নেতাকর্মী একে অপরের সাথে হাতাহাতিতে জড়িয়ে যায়। পরে সিনিয়র নেতাকর্মীরা এসে দুই পক্ষকে নিবৃত করে।

    এ প্রসঙ্গে জিলান আল সাদ ঈশান বলেন, ‘মূলত আমরা দুই বন্ধু মিলে বাসে উঠার আগে দুষ্টুমি করছিলাম। কিন্তু এটা নিয়ে হলের অন্যদের মাঝে ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। বাস থামার পর দুজন একত্রে নামার পরই আমাদের দুজনের হলের সদস্যরাই উত্তেজিত হয়ে পরে। পরে সিনিয়ররা এসে সবাইকে সরিয়ে দেন।’

    অন্যদিকে আহসানুল হক শিপন বলেন, ‘শহরে বাসে উঠার আগে আমরা দুজন একে অপরকে না চেনাতে প্রথমে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিলো। ক্যাম্পাসে আসার পর আমার হলের ছেলেরা কিছু না বুঝেই উত্তেজিত হয়ে পড়ে। পরে বড় ভাইরা সবাইকে শান্ত করেছে। এখানে মারামারি বা এরকম কিছু হয়নি।’

    এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, ‘এটা কোনো বড় ধরনের ঘটনা না। তারা দুজনের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি হওয়াতেই পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়েছে। পরে আমরা তাদের নিয়ে বসে মীমাংসা করেছি।’

    বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন জানান, ‘দুই হলের দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে হাতাহাতি-ধাক্কাধাক্কির খবর পেয়েছি। পরে ক্যাম্পাসের ছাত্র-প্রতিনিধিরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছে। পরবর্তীতে এ ধরনের পরিবেশ সৃষ্টি না করতে তাদের সতর্ক করা হয়েছে।’

    বিএম/মাহফুজ কিশোর/আরএস..