বিএনপির শীর্ষ আট নেতার জামিন

    নাশকতা ও পুলিশের কাজে বাধার অভিযোগে রাজধানীর হাতিরঝিল থানার মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির শীর্ষ আট নেতার জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

    মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাফুজ্জামান আনসারী জামিনের শুনানি শেষে প্রত্যেকের পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন।

    জামিন পাওয়া অন্যান্য নেতারা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু।

    সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) তারা ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। বিএনপি নেতৃবৃন্দের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, মাসুদ আহমেদ তালুকদার প্রমুখ আইনজীবী।

    আদালতের আদেশের পর ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান জানান, হাতিরঝিল থানায় দায়ের করা এই মামলায় বিএনপির আট নেতার পক্ষে জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। তবে এ মামলার আরও আট নেতা শিগগিরই হাজির হয়ে জামিন নেবেন বলে আশা করছি।

    আত্মসমর্পণ করে জামিনের অপেক্ষায় থাকা অন্য নেতারা হলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন, মঞ্জুর মোরশেদ খান, মো. শাহজাহান, বরকতউল্লাহ বুলু, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, অ্যাডভোকেট শাখাওয়াত হোসেন, হাজী সালাহউদ্দিন ও মো. আমিনুর রহমান, এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন।

    গত ১৮ এপ্রিল এ মামলায় আপিল বিভাগের রায় প্রকাশের পর বিচারিক আদালতে পৌঁছানোর দুই সপ্তাহের মধ্যে ১৬ নেতাকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। তবে আত্মসমর্পণের পর এসব ব্যক্তি জামিনের আবেদন করলে সংশ্লিষ্ট আদালত আইন ও তথ্য অনুসারে জামিনের জন্য তাদের প্রার্থনা বিবেচনা করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। ২১ আগস্ট আপিল বিভাগের রায়টি বিচারিক আদালতে পৌঁছায়। যার ধারাবাহিকতায় তারা বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করেন এবং জামিন চেয়ে আবেদন করেন।

    এর আগে নাশকতার অভিযোগে হাতিরঝিলে করা মামলায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ৮ শীর্ষ নেতাকে আগাম জামিন দেন বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ ও বিচারপতি কাশেফা হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

    গত বছরের ১ অক্টোবর রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় সরকারবিরোধী উসকানিমূলক বক্তব্য এবং পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ৫৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করে পুলিশ।

    বিএম/এমআর