মানহানির মামলায় ফের কারাগারে ব্যারিস্টার মইনুল

    তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন নারী সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির দায়ের করা মানহানির মামলায় জামিন নিতে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করেও জামিন পাননি। আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

    মঙ্গলবার (০৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা মহানগর হাকিম মো. তোফাজ্জল হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন ব্যারিস্টার মইনুল।

    আদালতে ব্যারিস্টার মইনুলের পক্ষে শুনানি করেন ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি গোলাম মোস্তাফা, আইনজীবী আমিনুল ইসলাম ও মহিউদ্দিন চৌধুরী।
    মইনুলের আইনজীবীরা জানান, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন সব মামলায় জামিনে রয়েছেন। সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি নিজে বাদী হয়ে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মানহানির মামলাটি করেছিলেন। এই মামলাতেও ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন।

    তবে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের নির্দেশনা ছিল, সংশ্লিষ্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করে উচ্চ আদালতের দেয়া জামিনের বিষয়ে অবহিত করতে হবে। সেই সঙ্গে পুনরায় নিম্ন আদালত থেকে জামিন নিতে হবে।

    ব্যারিস্টার মইনুলের আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমরা পুরো বিষয়টি আদালতে উপস্থাপন করেছি। আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন।

    প্রসঙ্গত গত বছরের ১৬ অক্টোবর রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে আমাদের নতুন সময়ের নারী সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে করা মন্তব্য নিয়ে তার বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মানহানির মামলা করেন ওই সাংবাদিক।

    এরপর রংপুর ও জামালপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে মানহানি ও ডিজিটাল আইনে আরও কয়েকটি মামলা হয়।

    রংপুরে করা মানহানির এক মামলায় ২২ অক্টোবর রাতে মইনুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয়ে নেওয়া হয়। পরে আদালতে তোলা হলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে সব মামলায় জামিন পেয়ে কারামুক্ত হন সুপ্রিম কোর্টের এই জ্যেষ্ঠ আইনজীবী।

    বিএম/এমআর