আবরার রাহাতের মৃত্যুর ঘটনায় কোন মন্তব্য করেননি প্রথম আলো
    কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় আবরারের রাহাতের মৃত্যু হয়েছে :দাবি স্বজনদের

    স্টাফ রিপোর্টার :রাজধানীর মোহাম্মদপুরে রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে দৈনিক প্রথম আলোর সাময়িকী কিশোর আলোর একটি অনুষ্ঠান চলাকালে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নবম শ্রেণির ছাত্র নাইমুল আবরার রাহাতের (১৫) মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

    মোহাম্মদপুর থানার ওসি জিজি বিশ্বাস এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে কিশোর আলোর অনুষ্ঠান দেখতে এসেছিলেন ওই শিক্ষার্থী। পরে সেখানেই বিদ্যুতায়িত হয়ে গুরুতর আহত হলে অনুষ্ঠানস্থলের জরুরি মেডিক্যাল ক্যাম্পে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। দুইজন এফসিপিএস ডাক্তার তাকে পরীক্ষা করে দেখেন। আয়োজকরা তাকে মহাখালীর আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে জানান।

    তবে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম, আবরার রাহাতের স্বজন ও সহপাঠীদের মাধ্যমে ঘটনাটির চাঞ্চল্যকর কিছু বিবরণ পাওয়া যায়।
    জানা যায়, “নাইমুল আবরার গতকাল সন্ধ্যায় নিজের কলেজে অনুষ্ঠিত হওয়া “কিশোর আলোর” অনুষ্ঠানে ইলেক্ট্রিক শকে মারা যায়, কিন্তু আয়োজকরা লোকচক্ষুর আড়ালে তাকে মহাখালীর “আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতালে ” নিয়ে যায় এবং সেখানে মৃত্যুর পর তার লাশ ফেলে আসে। আবরার রাহাতের সহপাঠীরা জানায়, আবরার আহত হওয়ার পর প্রায় তিন ঘন্টা বেচে ছিল।পাশে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে না নিয়ে চুক্তি থাকার কারণে তাকে মহাখালীর “আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতালে ” নিয়ে যায়।চুক্তির চেয়ে একটা মানুষের জীবনের দাম কি কম হয়ে গেল?তারা বলেন, কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় তার মৃত্যুর জন্য দায়ী ।

    আরো জানা যায়, হাসপাতালে তাকে রেখে আসলে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার ইউনিফর্ম দেখে সন্ধ্যার দিকে কলেজ কর্তৃপক্ষকে ফোন দেয়।

    অথচ “কি আনন্দ’র” অর্গানাইজার’রা কর্তৃপক্ষ এবং অভিভাবক কাউকেই বিষয়টি অবগত করেনি। কলেজের স্টাফ থেকে শোনা যায়, তারা একটি এম্বুলেন্স দেখেন, কিন্তু তারা বুঝে উঠার আগেই সেটা চলে যায়, এক স্টাফের দাবী ১০-১৫ মিনিট বড় একটি প্রজেক্টর বন্ধ ও রাখা হয়.আবরার রাহাতের সহপাঠীরা অভিযোগ করেন,
    লোকচক্ষুর আড়ালে একটি মর্মান্তিক বিষয় এখানে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।”কিশোর আলো’র” কর্তৃপক্ষ কে এই মৃত্যুর জবাব দেয়ার দাবী জানায় তারা।

    অন্যদিকে প্রথম আলো এবং কিশোর আলোর কেউই এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করেন নি।

    আবরারের স্বজনরা জানায়, এত বড় দুর্ঘটনার পরেও কিভাবে প্রোগ্রাম চালালো প্রথম আলো?
    শিশু কিশোরদের নিয়ে আয়োজিত প্রোগ্রামে অর্গানাইজারদের প্রথম দায়িত্বই হচ্ছে ভেন্যুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।আশেপাশে ঝুকিপূর্ণ নির্মানাধীন ভবন ,মাঠে ঝুকিপূর্ণ বৈদ্যুতিক লাইন খুলে থাকলে ,বাচ্চাদের নাগালের মধ্যে থাকলে সেগুলোকে নিরাপদে রাখা দরকার ছিল । কিশোর আলো কেন সেটা করেনি?
    এদিকে ক্ষোভ প্রকাশ করে অনেকে কিশোর আলো , এবং প্রথম আলো’র বয়কটের ঘোষণা দেয়।

    আরো: ৭ নভেম্বরের আগে পরিবহন আইনে মামলা নয়: ওবায়দুল কাদের