বাংলাদেশমেইল: আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে বিদ্রোহী সেনাদের হাতে আটক হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বোউবাকার কেইতা পদত্যাগ করেছেন।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে তিনি সরকার ও পার্লামেন্ট বিলুপ্ত বলেও ঘোষণা দিয়েছেন। খবর বিবিসির
তিনি বলেছেন, আমাকে ক্ষমতায় রাখার জন্য কোন রক্তপাত হোক, সেটা আমি চাই না।
এর আগে তাকে ও দেশটির প্রধানমন্ত্রী বোউবোউ সিসেকে আটক করে রাজধানী বামাকোর একটি সামরিক ক্যাম্পে নিয়ে যায় বিদ্রোহী সেনারা।
এর কয়েক ঘণ্টা পর তিনি ভাষণে বলেন, যদি আজ আমাদের সেনাবাহিনীর একটি নির্দিষ্ট অংশ নিজেদের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে সমাপ্তি টানতে চায়, আমার সামনে কি সত্যিই আর কোন বিকল্প আছে?
এর আগে, বিদ্রোহী সেনারা রাজধানী বামাকো থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরের কাটি সামরিক ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়।
মালির সেনাদের মধ্যে বেতন-ভাতা নিয়ে অসন্তোষ এবং জিহাদিদের সঙ্গে অব্যাহত লড়াই নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে।
২০১৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসেন কেইতা। কিন্তু দুর্নীতি, অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় তার ওপর অনেকের ক্ষোভ তৈরি হয়।
সম্প্রতি দেশটিতে বেশ কয়েকবার বড় ধরনের বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে।
কাটি সামরিক ঘাটির ডেপুটি কমান্ডার কর্নেল মারিক ডিয়াউ এবং জেনারেল সাদিও কামারা এই বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। এই সামরিক ঘাটির দখল নেওয়ার পর বিদ্রোহী সেনারা রাজধানীতে চলে আসে।
মঙ্গলবার দুপুরের পর তারা প্রেসিডেন্টের বাসভবনে ঢুকে পড়ে এবং সেখানে থাকা প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীকে এসমযয় আটক করে তারা।
সেইসঙ্গে প্রেসিডেন্টের ছেলে, ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির স্পিকার, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রীকেও আটক করা হয়েছে।
তবে এই বিদ্রোহে দেশটির কতো সেনা অংশ নিয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি।