পার্বত্য অঞ্চলে অসহায় মানুষের পাশে বাসন্তী চাকমা এমপি

    বিপ্লব তালুকদার খাগড়াছড়ি:

    খাগড়াছড়িতে দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী  অধিকাংশ অধিবাসীরা বস্ত্রের অভাবে কষ্ট পাচ্ছেন। বিশেষ করে পাহাড়ের অভ্যন্তরে ও পাদদেশে বসবাসকারী পাহাড়ি-বাঙ্গালী সম্প্রদায়ের কিছু মানুষ। একজন সংগ্রামী, আত্মপ্রত্যয়ী মানবসেবক এমপি বাসন্তী চাকমা তিনি মন উজাড় করে অসহায়, নিপীড়িত পুরুষ ও নারীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
    ছবিতে অসহায় মানুষটির পরনে ঠিক তেমন কিছু নেই বললে চলে।  রাস্তার পাশে দাড়িয়ে নিজের সংসারের খরচ যোগান দিতে ভিক্ষা করছেন স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে। পথিিমধ্যে  রাঙামাটির বনরুপায় যাওয়ার পথে এমপি বাসন্তী চাকমার চোখে যায় রাস্তার পাশের এই বৃদ্ধ লোকটির উপর।

    গাড়ি থামিয়ে তাদের সাথে কথা বলে রাঙামাটির বনরুপায় একটি দোকান থেকে কিছু পোশাক আরো এবং প্রয়োজনীয় কিছু জিনিসপত্র কিনে তাদের হাতে তুলে দেন বাসন্তী চাকমা এমপি।

    আসলে বিস্মৃতির শাসন গ্রাহ্য করে কালের কপোলতলে চির শুভ্র সমুজ্জল হয়ে যারা হাজার বছর এই পৃথিবীর মাঝেই পঞ্চমীর চাঁদ হয়ে বেঁচে থাকবেন, তাদের নিয়ে লিখতে যাওয়া সময়ের অপব্যবহার ছাড়া কিছুই নয়। তথাপি সময়ের দাবি পূরণের জন্যই লিখতে যাওয়া। আসলে তারাতো অমৃতের সন্তান।
    এই চরম অবক্ষয়ের যুগে আলোকিত কিছু মানুষ নিজে দায়িত্ব মাথায় তুলে নিয়েছেন বলেই এই সবুজ দেশ, এই সমাজ, এই রাষ্ট্র এখনও সুন্দর পথে চলছে।

    সংকীর্ণ বা ছোট মনের মানুষেরা শুধু সমালোচনা করতে জানে, গড়পড়তা বা মাঝারী ধরনের মনের মানুষেরা কাজের সমালোচনা করে, বড় মনের মানুষেরা নিজ ধারণা ব্যাখ্যা করে কিন্তু শ্রেষ্ঠ মনের মানুষেরা কাজ করে নীরবে। বাস্তবিক সত্য যে, বড় বা শ্রেষ্ঠ মনের মানুষদের অন্যের সমালোচনা করার সময় তাদের নেই। তারা কথায় নয়-কাজে বিশ্বাসী। তেমনি এক মহতী নারী খাগড়াছড়ি রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান মহিলা সংরক্ষিত আসনের এমপি বাসন্তী চাকমা।

    যুগ যুগ ধরে অনেক মানুষেই নীরবে নিভৃতে কোনো কিছুর প্রত্যাশা না করে মানবসেবায় নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেন। সকল প্রচারণার আড়ালে থেকে বটবৃক্ষের মতোই নিশ্চুপে ছায়া দিয়ে যান অসহায় দরিদ্র মানুষদের। গরিব, দুঃখী, অসহায় ও নির্যাতিত নারীদের পাশে থেকে সেবা করাটাকে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ মনে করেন বাসন্তী চাকমা ।