হাটহাজারীতে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে প্রাণ গেলো হেফাজতের ৪ কর্মীর

    বাংলাদেশ মেইল::

    হাটহাজারীতে মোদীর সফর ঘিরে হেফাজত নেতাদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হয়েছে। শুক্রবার নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরকে কেন্দ্র করে হাটহাজরীতে হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা বিক্ষোভ করলে,  পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বাঁধে। এসময় সাতজন  গুলিবিদ্ধ হয়।

    গুলিবিদ্ধ সাত হেফাজত কর্মিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক এদের চারজনকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি তিনজনের অবস্থাও আশংকাজনক।

    শুক্রবার (২৬ মার্চ) দুপুর সাড়ে ৩টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির জহুরুল ইসলাম।

    হাটহাজারী মাদ্রাসার ছাত্র ফাহিম বাংলাদেশ মেইলকে জানান, শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের পর বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশ বাধা দিলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় হেফাজত ইসলামের বিক্ষুব্দ নেতাকর্মী হাটহাজারী থানায় হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করলে।  তখন পরিস্থিতি সামাল দিতে  পুলিশ গুলি চালায়। এতে ৬জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২০জন নেতাকর্মী আহত হয়। আহতদের মধ্যে ১১ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ৪ জনের মৃত্যু হয়। ‘

    নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে এই ঘটনায় আহত হয়েছে অর্ধশতাধিক। তবে এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না আহতের অবস্থা কেমন।   জুমার নামাজের পরপরই স্বাধীনতার সুবর্নজয়ন্তীতে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিতে আসা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনের বিরোধীতা করে বিক্ষোভকে করে হেফাজতের নেতারা। এতে হাটাহাজারীতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে  হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা।

    পুলিশের সঙ্গে মোদি বিরোধীদের সংঘর্ষ
    সংঘর্ষের জেরে হেফাজতের নেতারা হাটহাজারী থানা কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে। ওই এলাকা পুরো রণক্ষেত্রে পরিণত হয় এসময় । হেফাজতের বিক্ষুব্ধ কর্মীরা চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়ক অবরোধ করে রাখে । পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ থানার সাসনে অবস্থান করছে।

    সংঘর্ষের এক পর্যায়ে মাদরাসার সামনে থেকে মিছিল করে এসে হেফাজতের নেতাকর্মীরা থানার সামনে অবস্থান নেয়। এসপির নেতৃত্বে পুলিশ ও বাস স্ট্যান্ডে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেয়। তাদের ত্রিমুখী অবস্থানের কারণে জুমার নামাজের পর থেকে হাটাহাজারী খাগড়াছড়ি সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

    এদিকে হাটহাজারী থানার ওসি বেলাল দাবি করেন  মাদরাসার সামনে তাদের পাঁচ পুলিশ সদস্য আটকা পড়েছেন।  এ ঘটনায় দুই সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।