পরিবহন শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানোর আহবান খোরশেদ আলম সুজনের

    বাংলাদেশ মেইল ::

    সরকার ঘোষিত লকডাউন পরিস্থিতিতে গণপরিবহন শ্রমিকদের প্রতি মানবতার হাত বাড়িয়ে দিতে মালিক, পরিবহন নেতা, সমাজের বিত্তবান শ্রেণীসহ সকলের নিকট উদাত্ত আহবান জানিয়েছেন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক এবং চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। আজ বুধবার (২১ এপ্রিল ২০২১ইং) দুপুরে উত্তর কাট্টলীস্থ তাঁর নিজ বাসভবনে নাগরিক উদ্যোগের পক্ষ থেকে গণপরিবহনের সাথে সংশ্লিষ্ট শতাধিক পরিবারকে ইফতার এবং সেহেরীর খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্টানে তিনি এ আহবান জানান।

    এ সময় তিনি বলেন বৈশ্বিক করোনা মহামারীতে দেশের জীবন ও জীবিকাকে সমুন্নত রেখে অর্থনীতির চাঁকাকে সচল রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। দেশের সকল সেক্টরের মানুষ যাতে কর্মহীন না হয়ে পড়েন, সে জন্য প্রধানমন্ত্রী ধাপে ধাপে বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করছেন। এছাড়া করোনা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ৩৬ লাখ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিবেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে গতি আনতে সরকারের তরফ থেকে এ ধরনের সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। সরকারের এতগুলো জনহিতকর উদ্যোগের কারণে প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন সুজন। আজ দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এ বি এম আজাদ এনডিসি এবং চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানকে ফোন করে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন তিনি।

    তিনি আরো বলেন, গণপরিবহন জনজীবনে এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। সরকার ঘোষিত নির্দেশনার ফলে এসব গণপরিবহন কার্যত বন্ধ রয়েছে। ফলত চরম সমস্যায় পড়েছেন পরিবহন শ্রমিকেরা। এতে অনেক পরিবহন শ্রমিক অনাহারে-অর্ধহারে দিনাতিপাত করছেন। বিশেষ করে গণপরিবহনের পাশাপশি সিএনজি টেক্সি, ট্যাম্পু, হিউম্যান হলার চালক ও হেলপারদের অবস্থা খুবই শোচনীয়। তাই এ দুঃসময়ে তাদের পাশে দাড়ানো সমাজের সকল বিত্তবানদের একান্ত কাম্য। দেখা যাচ্ছে যে এসব পরিবহন মালিকশ্রেণীরা শ্রমিকদের আয় দিয়ে গাড়ি বাড়ির মালিক হলেও শ্রমিকদের দুঃসময়ে তাদের কাছে পাওয়া যায় না। অথচ চালক এবং শ্রমিকরাই পরিবহনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আবার পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের কল্যাণের নামে সারা বছর বিভিন্ন পরিবহন থেকে অর্থ আদায় করা হয়। চলমান লকডাউনে শ্রমিকরা অর্থকষ্টে থাকলেও মালিক বা শ্রমিক সমিতির নেতাদের কেউ এগিয়ে আসেননি।

    তাই এসব শ্রমিকদের সরকারের পক্ষ থেকে সাধ্যমতো সহায়তা প্রদান করার জন্য চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবং চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসককে অনুরোধ জানান তিনি। জবাবে বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসক সরকারের উর্দ্ধতন মহল এবং মালিক সমিতির সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন। তিনি নগরীর বিভিন্ন এলাকার সামর্থ্যবান শ্রেণীদেরকে নিজ নিজ এলাকার গরীব, দুঃখী, অসহায়দের পাশে দাড়ানোর উদাত্ত আহবান জানান। এছাড়া লকডাউন পরিস্থিতিতে যারা সরকারি নির্দেশনা মেনে চলছেন তাদেরকেও ধন্যবাদ জানান সুজন।