প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ৩’শ জন তৃতীয় লিঙ্গের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করেছে জেলা প্রশাসক।

বাংলাদেশ মেইলঃঃ

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ৩’শ জন তৃতীয় লিঙ্গের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করেছে জেলা প্রশাসক।

 

নগরীতে কোভিড-১৯ জনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে লকডাউন চলাকালীন সময়ে হিজড়া ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মাঝে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেওয়া ৩’শ প্যাকেট উপহার সামগ্রী বিতরণ করেছে জেলা প্রশাসন।

গতকাল রোববার সকাল ১১টায় এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম হলে ৩’শ ত তৃতীয় লিঙ্গের মাঝে এসব উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান।

প্রতি প্যাকেট উপহার সামগ্রীর মধ্যে ছিল-৮ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ১ চিড়া, ২ কেজি আলু, ১ কেজি চিনি ও ১ কেজি সেমাই,চা পাতা ১০০ গ্রাম।

উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এস.এম জাকারিয়া, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোছাঃ সুমনী আক্তার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নাজমুল আহসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাসুদ কামাল, সমাজসেবা কার্যালয়ের , নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও স্টাফ অফিসার টু ডিসি উমর ফারুক, এনডিসি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আলী হাসান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান, জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা সজীব চক্রবর্তী, উপ-পরিচালক মোঃ শহীদুল ইসলাম ও নবজাগরণ হিজড়া শ্রমজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি ফাল্গুনী হিজড়া প্রমূখ।

উপহার সামগ্রী বিতরণকালে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, করোনাকালে যেসব শ্রমজীবী মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে বা কষ্টে আছে তাদের প্রত্যেকের হাতে ত্রাণ পৌঁছে দিতে জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন। সমাজের অবহেলিত তৃতীয় লিঙ্গের হিজড়া গোষ্ঠী যারা মানুষের কাছে হাত পাতে, যাদেরকে অবহেলার চোখে দেখি তাদেরকেও ত্রাণের আওতায় আনতে চাই। নরসুন্দর, মুচি, জেলে, প্রতিবন্ধি, বেদে সম্প্রদায় ও পরিবহন শ্রমিকসহ যারা অতি কষ্টে দিনযাপন করছে তাদের প্রত্যেককে পর্যায়ক্রমে ত্রানের আওতায় আনা হবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা চাই এই পরিস্থিতিতে কেউ অনাহারে ও কষ্টে থাকবেনা। যতদিন লকডাউন চলবে ততদিন সমাজের অসহায় ও অস্বচ্ছল মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের মধ্যে যারা প্রকাশ্যে সাহায্য নিতে সংকোচবোধ করছে বা সাহায্য চেয়ে আমাদের কাছে টেলিফোন ও এসএমএস করছেন তাদের বাসা-বাড়িতে গিয়ে উপহার সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। আমাদের কাছে ২০ হাজার প্যাকেট ত্রাণ সামগ্রী মজুদ আছে।

নগরীতে এ পর্যন্ত ২ হাজার ৩’শ প্যাকেট ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। মহানগরীর বাইরে উপজেলা পর্যায়ে এ পর্যন্ত ৫ শতাধিক অসহায় মানুষের মাঝে ত্রান সামগ্রী দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি কিছু অস্বচ্ছল পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ সহায়তা দেয়া হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমরা সবাই কাজে ফিরে যাবো। লকডাউনে একেবারে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের সহায়তায় সরকারের পাশাপাশি সমাজের ধনার্ঢ্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।
স্বেচ্ছাসেবক টিম সিপিপি, বেটার ফিউচার বাংলাদেশ, পুর্বাশার আলো, রেড ক্রিসেন্ট, তৃণমুল নাট্যদল, সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন ও নির্বাণ ক্লাব ত্রাণ বিতরণ কাজে সহযোগিতা করেন।