কারাগারের বাইরে চিকিৎসা নিতে চান বাবুল আক্তার

    মিতু হত্যা

    বাংলাদেশ মেইল ::

    চাঞ্চল্যকর মিতু হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া নতুন মামলার আসামী পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তার কারাগারের বাইরে চিকিৎসা নেবার অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করেছেন।

    বৃহস্পতিবার (২০ মে)তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে এই আবেদন করেন। আদালত আগামী রবিবার এ বিষয়ে আদেশ দিতে পারে।

    বাবুল আক্তারের আইনজীবী আরিফুর রহমান বিষয়টি নিশ্চত করে বলেন, ‘ শারীরিকভাবে অসুস্থ হবার কারনে কারাগারের বাইরে চিকিৎসার সুযোগ চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। বাবুল আক্তারের ফুসফুসে কফ জমেছে। ‘

    এদিকে, চট্টগ্রামে মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যাকাণ্ডের প্রথম মামলা যেখানে গিয়ে থমকে গিয়েছিল, তদন্তের নাটকীয় দিক বদলে তার স্বামী বাবুল আক্তারকে আসামি করে দায়ের করা মামলাতেও সেই একই প্রশ্ন সামনে আসছে আবার।

    সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের ঘনিষ্ঠ ‘সোর্স’ কামরুল ইসলাম শিকদার মুছা কোথায়- তা জানতে চান তার স্ত্রী পান্না আক্তার।

    প্রায় পাঁচ বছর আগে মিতু হত্যাকাণ্ডের সতের দিনের মাথায় পুলিশ মুছাকে ‘তুলে নিয়ে যায়’ বলে অভিযোগ করেছিলেন তার স্ত্রী পান্না।
    এখন বাবুল আক্তার নিজেই তার স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ার পর মুছার অন্তর্ধান রহস্য নতুন করে সামনে আসছে।

    পান্না বলেন, “আমার স্বামী যদি অপরাধ করে থাকে তাহলে তাকে ধরা হোক, বিচার করা হোক। কিন্তু তার কোনো খোঁজ নেই। বাবুল আক্তারকে যদি এতদিন পরে এ ঘটনায় গ্রেপ্তার করা যায়, তাহলে আমার স্বামীর কেন খোঁজ পাব না?”

    এ মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনও (পিবিআই) বলছে, মুছার সন্ধান পাওয়ার বিষয়ে তারা ‘সর্বোচ্চ গুরুত্ব’ দিচ্ছে।

    ২০১৬ সালের ৫ জুন বন্দরনগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় খুন হন চট্টগ্রামে বিভিন্ন জঙ্গিবিরোধী অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু।
    পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সদরদপ্তরে যোগ দিতে ওই সময় ঢাকায় ছিলেন বাবুল। হত্যাকাণ্ডের পর চট্টগ্রামে ফিরে পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে তিনি মামলা দায়ের করেন।

    ওই হত্যাকাণ্ডের জন্য শুরুতে জঙ্গিদের সন্দেহ করা হলেও ২৬ জুন মো. মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম ও মো. আনোয়ার নামে দুজনকে গ্রেপ্তারের পর তদন্তকারীরা বলেছিলেন খুনিরা ‘পেশাদার অপরাধী’।

    ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ভিডিও দেখে পুলিশ যাদের চিহ্নিত করেছিল, তাদের একজন হলেন বাবুলের ‘সোর্স’ মুছা। আদালতে ওয়াসিমের দেওয়া জবানদন্দিতেও মুছার নাম এসেছিল।

    পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল, কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুছাই সেদিন মিতুকে হত্যার নেতৃত্ব দেন। কিন্তু মুছার খোঁজ না মেলায় হত্যার কারণ উদঘাটন করতে পারেননি গোয়েন্দারা।