প্রমাণ মিললে ফারদিনকে আইনের আওতায় আনা হতে পারে

    বাংলাদেশ মেইল ::

    মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরের আরএম সেন্টারে অবস্থিত ‘মন্টানা লাউঞ্জ’ রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ মাদক সিসা ও সিসা সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করে। ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার হওয়া ১১ জনকে আসামি করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ অনুযায়ী একটি মামলা দায়ের করেছে গুলশান থানা পুলিশ। তবে ওই মামলায় অবৈধ সিসা বার পরিচালনাকারী ও ‘মন্টানা লাউঞ্জ’ রেস্তোরাঁর মালিক ফারদিন এহসান স্বাধীনকে আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তিনি তারকা দম্পতি মৌসুমী ও ওমর সানীর ছেলে।

    পুলিশ বলছে, সিসা একটি নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য। সিসা বার পরিচালনা, বিক্রি ও সেবন আইন অনুযায়ী সম্পূর্ণভাবে অবৈধ ও নিষিদ্ধ। মন্টানা লাউঞ্জ রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়ে সিসা ও সিসা সেবনের সরঞ্জামাদিসহ গ্রেফতার হওয়া ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে কয়েকজন রেস্তোরাঁর সেফ (রাঁধুনি) এবং বাকিরা ওয়েটার হিসেবে সেখানে সিসা লাউঞ্জে কাজ করতেন। তবে অভিযানের সময় রেস্তোরাঁর মালিক ফারদিন এহসান স্বাধীন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না।

    এদিকে, বাবা ওমর সানীর দাবি, ওই রেস্তোরাঁটি মূলত ফুড আইটেম (খাবার) বিক্রি করা হতো। তবে সেখানে ৯০ শতাংশ ফুড আইটেম এবং ১০ শতাংশ সিসা লাউঞ্জ হিসেবে পরিচালিত হতো। রেস্তোরাঁটির মালিক ও তার ছেলে ফারদিন এহসান স্বাধীন কোনো বে-আইনি কাজ করেনি বলেও দাবি করেন।

    ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল হাসান গণমাধ্যমে বলেন, ‘গুলশানে মন্টানা লাউঞ্জ নামে একটি অবৈধ সিসা বারে অভিযান চালিয়ে সিসা ও সিসা সেবনের সরঞ্জামাদিসহ ১১ জনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ’

    সিসা বার পরিচালনাকারী ও রেস্তোরাঁর মালিককে আইনের আওতায় আনা হবে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ঘটনাস্থলে যাদের হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়েছে শুধুমাত্র তাদেরই আসামি করা হয়েছে। মামলাটি এখন তদন্তের বিষয়ে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রমাণ মিললে রেস্তোরাঁর মালিককেও আইনের আওতায় আনা হতে পারে। তবে মামলাটি এখন তদন্তাধীন রয়েছে।’

    এদিকে গ্রেফতার হওয়া আসামিদের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

    ২০১৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮’ কার্যকর হয়েছে। ওই নতুন আইনে সিসাকে মাদকদ্রব্যের ‘খ’ শ্রেণির তালিকাভুক্ত করে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নতুন আইনে মাদক সম্পর্কিত অপরাধ প্রমাণিত হলে ন্যূনতম এক বছর থেকে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড ও নগদ অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।