রোজিনার বিরুদ্ধে মামলা, কি আছে জব্দ তালিকায়!

    বাংলাদেশ মেইল ::

    সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের মামলার এজাহারে পাওয়া গেছে বেশ কিছু অসংগতি। তার বিরুদ্ধে  অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে মামলা দায়ের করা হলেও মামলার জব্দ তালিকায় ‘রাষ্ট্রের গোপনীয় কোন নথিই নেই।

    মামলার জব্দতালিকায় যে চারটি নথির কথা উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে প্রথমটি হচ্ছে, ‘জেনেভাস্থ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের অ্যাম্বাসেডর কর্তৃক প্রেরিত ডিও (২ পাতা)।’

    দ্বিতীয়টি ‘কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ব্যবহৃত চিকিৎসা সামগ্রী ও সরঞ্জামাদি ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদনের পক্ষে ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে প্রেরণের জন পরিচালক সিএমএসডি কর্তৃক প্রেরিত পত্র (৫৬ পাতা)।’

    তৃতীয়টি ‘সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির জন্য সার সংক্ষেপ (২ পৃষ্ঠা)।’

    চতুর্থ নথি হিসেবে আছে, ‘করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা সংগ্রহ ও বিতরণ সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় পরামর্শক কমিটির অনুমোদন সংক্রান্ত অনুমোদিত সামারীর ফটোকপি (২ পাতা)।’

    আইনজীবীরা বলছেন জব্দ তালিকার চারটি ডকুমেন্টসই তথ্য অধিকার আইনে যে কোন নাগরিক চাইতে পারে৷ এসব অতি গোপনীয় ডকুমেন্টস পাওয়া গেছে বলে একজন সাংবাদিককে মামলা দিয়ে হয়রানি করা ক্ষমতার অপব্যবহার  ছাড়া কিছুই নয়।

    উল্লেখ্য, সোমবার (১৭ মে)পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আটকে রেখে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয় সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে।

    রোজিনা ইসলাম পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সোমবার (১৭ মে) বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সচিবালয়ের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান। পরে খবর পাওয়া যায় তাকে সেখানে কর্মকর্তারা একটি কক্ষে আটকে রেখেছেন।

    রোজিনা ইসলামকে আটকে রাখার খবর পেয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওই ভবনে যান। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে রোজিনাকে আটকে রাখার কারণ সম্পর্কে গণমাধ্যমকর্মীরা জানতে চাইলেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা কিছুই জানাননি।

    একপর্যায়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে কিছু নথি সরানোর অভিযোগ এনে পুলিশ ডাকা হয়েছে। পরে রোজিনা ইসলামকে শাহবাগ থানায় নিয়ে রাখা হয়েছে। পরে তার বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করা হয়।