পাইকারি পর্যায়ে পাম অয়েলের দর কমেছে মণে ৭০০ টাকা

    পাইকারি

    বাংলাদেশ মেইল ::

    রেকর্ডের পর রেকর্ড ছাড়িয়ে ভোগপণ্যের বাজারে অবশেষে কমেছে পাম অয়েলের দাম। ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে এক সপ্তাহের ব্যবধানে পণ্যটির দাম মণে (৪০ দশমিক ৯০ লিটার) ৭০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে বুকিং দর কমে যাওয়া ও দেশীয় বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় পণ্যটির দাম কমেছে বলে জানিয়েছেন ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা।

    ভোগ্যপণ্যের বৃহৎ পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বর্তমানে পাইকারি পর্যায়ে প্রতি মণ পাম অয়েল বিক্রি হচ্ছে ৩৮০০ টাকা দরে। যা গত সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়েও ৪৫০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। সেই হিসেবে, মাত্র সাত-আট দিনের ব্যবধানে খাতুনগঞ্জে প্রতিমণ পাম অয়েলের দাম ৭০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।

    বর্তমানে খাতুনগঞ্জে টিকে গ্রুপের বে ফিশিং পাম অয়েল মণপ্রতি ৩৮০০ টাকা, এস আলম ৩৭৯০ টাকা এবং সিটি গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ ও বসুন্ধরা গ্রুপের পাম অয়েল ৩৭৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

    একই সময়ে বাজারে পাম সুপার অয়েলের দামও মণপ্রতি ৬০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। গত সপ্তাহের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত বাজারে প্রতি মণ পাম সুপার অয়েল বিক্রি হয়েছে ৪৬০০ টাকা দামে। যা বর্তমানে ৪০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

    পাম সুপারের মধ্যে বর্তমানে টিকে গ্রপের প্রতি মণ বে ফিশিং ৪০০০ টাকা, এস আলম ৩৯৯০ টাকা এবং অন্যান্য গ্রুপের (মেঘনা, সিটি ও বসুন্ধরা) পাম সুপার ৩৯৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে।

    তবে বিক্রি কম থাকায় গত এক সপ্তাহ ধরে দাম অপরিবর্তিত রয়েছে সয়াবিন তেলের দাম। প্রায় এক মাস ধরে পাইকারি বাজারে প্রতি মণ সয়াবিন তেল ৪৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে।