বন্দরে আমদানি করা সরিষা বীজের কনটেইনারে মিলেছে পপির বীজ

    বাংলাদেশ মেইল ::

    চট্টগ্রাম বন্দরে সরিষা ঘোষনা দিয়ে আনা পণ্যের কায়িক পরীক্ষায় মিলেছে আফিমসহ বিভিন্ন মাদক তৈরি করতে ব্যবহার করা  পপি বীজ (পোস্তা দানা)। পুরান ঢাকার আজমিন ট্রেড সেন্টার নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এসব পপির বীজ এনেছে বন্দরে।

    সোমবার (৩১ মে) যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর ও  আমদানি নিষিদ্ধ পপি বীজ নিশ্চিতের পর আটক করে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস।

    কায়িক পরীক্ষায় ধরা পড়া এ চালানের বিপরীতে বড় অংকের টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে বলে দাবি চট্টগ্রাম কাস্টমসের। বিষয়টি মঙ্গলবার (১ জুন) সকালে নিশ্চিত করেছেন কাস্টম হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন।

    কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, চালানটিতে মালয়েশিয়া থেকে দুই কনটেইনার সরিষা বীজ আসার কথা ছিল। চালানটি খালাসের দায়িত্ব ছিল সিএন্ডএফ এজেন্ট হটলাইন কার্গো ইন্টারন্যাশনাল । কিন্তু গোপন সূত্রে খবর পেয়ে চালানটি চ্যালেঞ্জ করে চট্টগ্রাম কাস্টমস।

    পরবর্তীতে কায়িক পরীক্ষা শেষে চালানটি আটক করে পণ্যগুলো ল্যাবে পরীক্ষা করলে পপি বীজের প্রমাণ মেলে। প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ১৫ কোটি টাকার পপি বীজ এনেছে বলে জানিয়েছে কাস্টমস।

    কাস্টম হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন  বলেন, ‘পুরান ঢাকার আজমিন ট্রেড সেন্টার নামের প্রতিষ্ঠানটি ৫৪ টন সরিষা বীজ আনার ঘোষণা দিয়ে  ৪২ টন আমদানি নিষিদ্ধ পপি বীজ নিয়ে আসে। ঘোষনা দেয়া পণ্য সরিষা বীজ ছিল মাত্র ১২ টন। আমদানি করা এসব পপি বীজের দাম ১৫ কোটি টাকা।’

    তিনি বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটি দুটি কনটেইনারের উপরের দিকে সরিষা বীজ ও ভেতরে পপি বীজ রাখে।  যাতে কায়িক পরীক্ষায় তাদের কারসাজি ধরা না পড়ে। এই অপরাধে কাস্টমসের আইনে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।’