মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কবরস্থান দখলের ঘটনার নেপথ্য নায়ক ইয়াকুব গ্রেফতার

    বাংলাদেশ মেইল ::

    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের  প্রথম জিএস মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইব্রাহিমের পারিবারিক কবরস্থান দখল করার ঘটনার নেপথ্যে নায়ক ইয়াকুব আলী শেষ পর্যন্ত পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে।

    বৃহস্পতিবার ২৪ জুন ঢাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে তাকে আটক করে পুলিশের একটি টিম। একই সাথে তার দুই সহযোগী ওসমান ও মাসুদকে বাকলিয়া থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় একটি বিদেশি পিস্তল ও দেশীয় তৈরি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। অভিযুক্ত ইয়াকুব সিএমপির তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী।

    কবরস্থান দখল করাকে কেন্দ্র করে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি ইয়াকুব আলী।

    গত ১১ জুন নগরের ১৮ নম্বর পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডের আবদুল লতিফ হাটখোলা এলাকায় নিজেদের জায়গায় গড়ে তোলা কবরস্থানে সাইনবোর্ড লাগাতে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যসহ ১৩ জন। এর মধ্যে ৪ জন গুলিবিদ্ধ হন।

    মোহাম্মদ ইব্রাহিমের ভাই, আওয়ামী লীগ নেতা আহমদ ইলিয়াস জানান জানান, ওই কবরস্থান তাদের পূর্বপুরুষ এলাকার মানুষের জন্য নিজের জায়গা দান করে গেছেন। কবরস্থানের জায়গার খাজনাসহ যাবতীয় ব্যয় পারিবারিক ভাবে পরিশোধ করা হয়। কবরস্থানের লাশ কবর দেয়া নিয়ে ইয়াকুব আলী চক্র ব্যবসা শুরু করে। সন্ত্রাসী ইয়াকুব ও তার বাহিনী ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা করে চাঁদার বিনিময়ে এই কবরস্থানের জায়গা বিক্রি করত।  এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে কবরস্থানে পুরোনো সাইনবোর্ড স্থাপন করতে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা।

    গণমাধ্যমে প্রকাশিত  ছবিতে ঘটনার সময় তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ইয়াকুবকে সশস্ত্রভাবে হামলায় অংশ নিতে  দেখা যায়। প্রকাশ্য অস্ত্র উঁচিয়ে সাধারন মানুষের উপর হামলা করতে দেখা যায় ইয়াকুব বাহিনীকে৷

    পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ইয়াকুব আলীর বিরুদ্ধে মাদক,চাঁদাবাজিসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। এর আগে দেড় কেজি হিরোইনসহ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল ইয়াকুব।

    এর আগে, কবরস্থানে সাইনবোর্ড লাগানোকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায়  বাঁশখালী থেকে জাহিদ নামে ইয়াকুবের আরেক সহযোগীকে অস্ত্রসহ আটক করেছিল পুলিশ।