বাংলাদেশ মেইল ::
ফল পেতে বিলম্বের কারণে এখনও অনেকেই করোনা পরীক্ষা করাতে অনাগ্রহী। আর এর ফলে সংক্রমণও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে চারদিকে। উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও পরীক্ষার আওতায় না আসায় সংক্রমণ বাড়ছে শহর থেকে গ্রাম জুড়ে। তবে এবার দ্রুত সংক্রমণ শনাক্ত ও নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। উপজেলার পর এবার নগরীর ছয়টি অস্থায়ী কেন্দ্রে চালু করতে যাচ্ছে এন্টিজেন পরীক্ষা। এতে মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যেই ফল পাওয়া সম্ভব হবে। ইতোমধ্যে এসব কেন্দ্রে নমুনা পরীক্ষা চালু করতে প্রশিক্ষণ দেয়া শুরু হয়েছে সংশ্লিষ্টদের। আগামী সপ্তাহ থেকে নগরীর অস্থায়ী এ ৬ কেন্দ্রে শুরু হবে এ পরীক্ষা। কেন্দ্রগুলো হল অক্সিজেন এলাকার ব্রাকের অস্থায়ী নমুনা পরীক্ষাগার, বাকলিয়া, বন্দর, বক্ষব্যাধি ক্লিনিক- আন্দরকিল্লা, ফৌজদারহাট বক্ষব্যাধি হাসপাতাল ও শুলকবহরের আইসিডিআরবি কেন্দ্র। এ ছয় কেন্দ্রে অস্থায়ীভাবে শুরু হবে এন্টিজেন পরীক্ষা।
এর আগে গত ২০ মার্চ থেকে এন্টিজেন টেস্ট কার্যক্রম শুরু করে চট্টগ্রামের প্রথম ডেডিকেটেড জেনারেল হাসপাতাল। এছাড়া চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালেও পরীক্ষা চালু রয়েছে। এরমধ্যে গেল জুন মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় কাক্সিক্ষত এ পরীক্ষা। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামের মোট ১৬টি কেন্দ্রে চালু রয়েছে এন্টিজেন টেস্ট। এরমধ্যে নগরীর নতুন এ ৬টি নিয়ে সর্বমোট চালু হবে ২২টি কেন্দ্রে।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, এন্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে দ্রুত সময়ের মধ্যে পজিটিভ-নেগেটিভ চিহ্নিত করা যায়। যদি কেউ পজিটিভ হয়, তাকে দ্রুত সময়ের মধ্যে পৃথক করা যাবে। সংক্রমণও আর ছড়াবে না। ইতোমধ্যে নগরীর এসব কেন্দ্রে এ পরীক্ষা চালু করতে প্রশিক্ষণ দেয়া শুরু হয়েছে। আশা করছি আগামী সপ্তাহ থেকে চালু করা সম্ভব হবে।