সিআরবি রক্ষায়  ধারাবাহিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত

    ধারাবাহিক

    বাংলাদেশ মেইল::

    নগরের ফুসফুস খ্যাত সিআরবি রক্ষায় ধারাবাহিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে প্রগতিশীল গণসংগঠনসমূহ, চট্টগ্রাম জেলায় সমাবেশ ও মিছিল সিনেমা প্যালেস মোড়ে অনুষ্ঠিত হয়।বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) উদীচী, চট্টগ্রামের সংগঠক প্রবাল দে’র সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র চট্টগ্রাম জেলার আইনবিষয়ক সম্পাদক নুরুচ্ছাফা ভুঁইয়া, যুব ইউনিয়ন, চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল সিকদার, উদীচী চট্টগ্রামের সংগঠক রমেন দাশগুপ্ত, ছাত্র ইউনিয়ন কোতোয়ালী থানার সাধারণ সম্পাদক অয়ন সেনগুপ্ত, সুবর্ণা দাশ, অনন্যা ভট্টাচার্য প্রমুখ।

    সমাবেশ সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি এ্যানি সেন।  বক্তারা বলেন, সিআরবিতে বেসরকারি হাসপাতাল নির্মাণের সিদ্ধান্তে ক্ষোভে ফেটে পড়া চট্টগ্রামবাসীর স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন, কূটকৌশলের মাধ্যমে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করে প্রকৃতি ও পরিবেশখেকো কতিপয় পুঁজিপতির স্বার্থ রক্ষা করছে চট্টগ্রামের তথাকথিত সরকার দলীয় কতিপয় ‘জনপ্রতিনিধি’। তারা মুখে সিআরবি রক্ষার কথা বলে, আন্দোলনরত চট্টগ্রামবাসীর বিশ্বাস অর্জন করে, গোপনে হাসপাতাল নির্মাণের জন্য কর্তৃপক্ষকে সুযোগ করে দিচ্ছে।  ‘হাসপাতাল শিরীষতলায় নির্মিত হচ্ছে না’ এমন বক্তব্যের মাধ্যমে দেশবাসীর চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

    প্রকৃতপক্ষেই শিরীষতলায় হাসপাতাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়নি এবং একইসঙ্গে এটা চট্টগ্রামবাসীর আন্দোলনের বিষয়ও নয়। বরং শিরীষতলার পাশে গোয়ালপাড়া সংলগ্ন এ হাসপাতাল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যা মূলত সিআরবির মধ্যেই পড়ে এবং এ জায়গায় হাসপাতাল হলে পুরো সিআরবির পরিবেশ প্রকৃতি ঝুঁকির মুখে পড়বে তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। এ থেকে বোঝা যায় অত্যন্ত সুচতুরতার সঙ্গে চট্টগ্রামবাসীকে ধোঁকা দিয়ে আন্দোলন ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করে, প্রাণ-প্রকৃতি বিপন্ন করে হাসপাতাল তৈরির পাঁয়তারা করে যাচ্ছে সরকার।

    তারা বলেন,  ধারাবাহিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে এবং তৃণমূলে আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে আমরা সিনেমা প্যালেস চত্বরে সমাবেশ করছি এবং ভবিষ্যতে বিভিন্ন এলাকায়ও আমাদের সমাবেশ করা হবে। এর পাশাপাশি নিয়মিত অন্যন্য কর্মসূচিও পালন করা হবে। চট্টগ্রামের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার প্রতি আহ্বান আন্দোলনে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে অধিকার আদায়ের সংগ্রামে শামিল হয়ে সবুজ নগরী গড়ার প্রক্রিয়ায় যুক্ত হোন।সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।