চট্টগ্রামে ডেঙ্গুর সংক্রমণ কম, আক্রান্ত ৮৮ জন

    সংক্রমণ কম
    বাংলাদেশ মেইল:

    সারাদেশে ডেঙ্গুর সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হলেও বিপরীত চিত্র চট্টগ্রামে। এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৮৮ জন।ঢাকার তুলনায় আক্রান্ত কম হলেও স্বস্তির কোনও কারণ নেই বলে জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত ৮৮ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৪৯ জন নগরের বিভিন্ন এলাকায় এবং ৩৯ জন চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত জুলাই মাসে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে চমেক সহ বিভিন্ন হাসপাতালে ৯ জন ভর্তি রয়েছেন।

    ডেঙ্গু চিকিৎসার প্রস্তুতি সম্পর্কে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবির বলেন, করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গুর চিকিৎসার জন্য আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। আলাদা ইউনিট স্থাপন করে ৫০ শয্যার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৩৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন হাসপাতালে।এদিকে ঢাকার তুলনায় চট্টগ্রামে ডেঙ্গুর সংক্রমণ কম হলেও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে। পরিত্যক্ত জিনিসপত্র ও টবে পানি জমিয়ে রাখা যাবে না।

    সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জেলা কীটতত্ত্ববিদ এনতেজার ফেরদৌস বলেন, বাড়ির আশপাশে পরিষ্কার রাখা আমাদের দায়িত্ব। কোথাও পানি জমে থাকতে দেওয়া যাবে না। গত কয়েকদিন আমাদের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, চট্টগ্রাম শহরের লালখান বাজার এলাকা এবং শেরশাহ এলাকায় এডিস মশার লার্ভা বেশি পাওয়া গেছে।

    ‘এছাড়া গত কয়েক বছরের কীটতত্ত্ব জরিপের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামের দেবপাহাড়, বহদ্দারহাট, গোসাইলডাঙ্গা, আকবরশাহ, লালখানবাজার এলাকা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। তবে অন্য এলাকায় এডিস মশা পাওয়া যাবে না বা ডেঙ্গু রোগ ছড়াবে না তা কিন্তু নয়। একটি মশা এক কিলোমিটার পর্যন্ত উড়তে পারে। সুতরাং মানুষকে সচেতন হতে হবে। ’তিনি বলেন, নগরে মশার লার্ভা ধ্বংসের ক্রাশ প্রোগ্রাম এবং মশার ওষুধ ছিটানো হয় দিনের বেলায়। কিন্তু মশার ওষুধ ছিটানোর উপযুক্ত সময় হলো সন্ধ্যা। এসময় ওষুধ ছিটালে অধিক মশা মারা যায়। দিনের বেলা এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হলে তেমন কোনো সুফল আসবে না।

    এ প্রসঙ্গে সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে আমরা সতর্ক আছি। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর ডেঙ্গুর প্রকোপ তুলনামূলক কম। ২০১৯ সালে ডেঙ্গুর প্রকোপ ছিল সবচেয়ে বেশি। ডেঙ্গুর পরীক্ষা বিনামূল্যে করতে জেলার বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে প্রায় ৮ হাজার কিট পাঠানো হয়েছে