বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের পিলারে ফাটল, যান চলাচল বন্ধ

বাংলাদেশ মেইল ::

নগরীর বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের চান্দগাঁওমুখী র‌্যাম্পের দুটি পিলারে ফাটল দেখা দিয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে নগর ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে বন্ধ করা হয় একাংশের যানচলাচল। তবে স্বাভাবিক রয়েছে মুরাদপুরের ষোলশহরের থেকে রাহাত্তারপুলের অংশে যানবাহন চলাচল।

সোমবার রাতে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেখে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। বহদ্দারহাট মদিনা হোটেলের সামনের ফ্লাইওভারের একটি পিলারের ওপরের অংশের পুরোটা ফাটল দেখতে পান তাঁরা।

চান্দগাঁও থানার ওসি মইনুর রহমান জানান, মোহরার অংশে দিয়ে ওঠা ও নামা আপাতত বন্ধ করে রাখা হয়েছে। তবে ষোলকবহর অংশে যানবাহন চলাচল করছে।

এই বিষয়ে জানতে সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামসের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাঁকে পাওয়া যায়নি।

গত ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট এলাকায় বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের স্টিলের গার্ডার ধসে পড়ে ১৭ জন নিহত হয়। হঠাৎ করে তিনটি গার্ডার নির্মাণের সময় ফ্লাইওভার (ওভারপাস) থেকে পড়ে যায়।

এর আগে ওই বছরের ২৯ জুন বহদ্দারহাটের এই নির্মাণাধীন ফ্লাইওভার থেকে ১৩০ ফুট দীর্ঘ কংক্রিটের গার্ডার ভেঙে পড়েছিল।

২০১০ সালের জানুয়ারিতে বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১১ সালের মার্চে ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রথমে নির্মাণের কার্যাদেশ পায় মীর আক্তার-পারিশা (জেভি) কনস্ট্রাকশন। মীর আকতার প্রধান অংশীদার হলেও মূল কাজ করে পারিশা।

এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ করার সময় ২০১২ সালের ২৯ জুন একটি গার্ডার হঠাৎ ধসে পড়ে। এতে একজন রিকশাচালক সামান্য আহত হন। এরপর একই বছরের ২৪ নভেম্বর ফ্লাইওভারের তিনটি গার্ডার ধসের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে  ১৩ জন নিহত হন। আহত হন আরো বহু লোক। আহতদের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয় পরে।  এই ঘটনার পর সিডিএ’র প্রকল্প পরিচালক নির্বাহী প্রকৌশলী এ এম হাবিবুর রহমানকে বরখাস্ত করা হয়। পরে তাকে মামলার আসামি করা হয়।