হাটহাজারীতে সওজের জায়গা দখলে যুবলীগ নেতা

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি ::

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গা দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে অবৈধ স্থাপনা, বসানো হয়েছে কাঁচা বাজার। এখানে চলছে ইঁদুর-বিড়ালের মতো জায়গা দখল ও উচ্ছেদ খেলা। একদিকে দখলমুক্তকরণে ঢাক ঢোল পিটিয়ে উচ্ছেদ, অন্যদিকে আবার দখল।

উচ্ছেদের পরে দখলের কারণে বারবার অভিযান চালাতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে। এতে সরকারের অর্থ খরচের পাশাপাশি নষ্ট হচ্ছে সময় এবং জনবল। অবৈধ দখল উচ্ছেদে সরকার যতটা উদ্যোগী ঠিক ততটা কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না।

২০১৯ সালের মার্চ মাসে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগ হাটহাজারী- সরকারহাট বাজারের মির্জাপুর মৌজা আরএস ১০০নং খতিয়ানের আরএস ৭৮০৯নং দাগের তৎসামিল বিএস ০৪নং খতিয়ানের ৬১৪৩,৬১৪২নং দাগের আন্দরে ২একর সরকারি খাস জায়গায় অবৈধ স্থাপনা, মার্কেট ও কাঁচা বাজার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন। কিন্তু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পরেও সরকারহাট বাজার খাগড়াছড়ি-মহাসড়কের পাশে দখল প্রবণতা অব্যাহতও রয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, হাটহাজারী উপজেলার সরকারহাট বাজার খাগড়াছড়ি- মহাসড়কের পাশে ক্ষমতাসীন দলের ক্ষমতার অপব্যবহার করে দোকানপাট স্থাপন করেন, যুবলীগ নেতা মাছ ব্যবসায়ী নাজিম উদ্দিন ও তার বাহিনী। সে মির্জাপুর ইউনিয়নের ভেলোয়ার পাড়া এলাকার মৃত সিরাজ মিয়ার পুত্র। সড়ক ও জনপথের জায়গা দখল করে ইতিমধ্যে প্রায় ১শত ২০টি দোকানঘর বসিয়েছেন তিনি।

সড়ক ও জনপথের জায়গা দখল করে বাজার বসানোর ব্যাপারে জানতে চাইলে ওই যুবলীগ নেতা মাছ ব্যবসায়ী নাজিম উদ্দিন জানান, খালি পড়ে আছে তাই বাজার বসিয়েছি। বর্তমানে আমাদের দলীয় সরকার ক্ষমতায়! এই সময় যদি কিছু করতে না পারি, পরে আর সম্ভব হবে না।

একদিকে প্রশাসন উচ্ছেদের প্রাণান্তকর চেষ্টা করলেও অন্যদিকে অবৈধ দখলদারিত্বের বিষয়ে জানতে চাইলেই সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আহসান মোস্তফা বলেন, দেশব্যাপী সওজের জায়গা ও সরকারি খাস জায়গায় অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযান চলছে। এই মুহূর্তে যে ব্যক্তি সওজের জায়গা দখল করে দোকানপাট ও বাজার বসিয়েছে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবং যেকোনো মুহূর্তে এই দখল উচ্ছেদ করা হবে।