ফেসবুকের কালো তালিকায় ৬ বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠন

জঙ্গি সংগঠন
Hacker with a laptop on the screen binary code. the concept of information security

বাংলাদেশ মেইল ::

জঙ্গি সংগঠন হিসেবে ছয়টি সংগঠনকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তারা বাংলাদেশে সক্রিয় এবং অপারেশন চালাচ্ছে। ‘ডেঞ্জারাস ইন্ডিভিজ্যুয়ালস অ্যান্ড অর্গানাইজেশন্স’ (ডিআইও)-এর আওতায় গোপন তালিকায় এই নামগুলো রয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করছে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কালো তালিকাভুক্ত ওই ব্যক্তি সম্পর্কে তদন্ত করছে এন্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ)। ফেসবুক কর্তৃক তালিকাভুক্ত সংগঠনগুলো হচ্ছে, আল মুরসালাত মিডিয়া অ্যান্ড ইসলামিক স্টেট বাংলাদেশ। ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে তাদের। হরকাতুল জিহাদি ইসলামি বাংলাদেশ অ্যান্ড আনসারুল্লাহ বাংলা।

আল কায়েদার সেন্ট্রাল কমান্ডের সঙ্গে এর সম্পর্ক রয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ, সাহাম আল হিন্দু মিডিয়া। এর রয়েছে জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) সঙ্গে সম্পর্ক।
এ তালিকায় তরিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি রয়েছে। তার বিস্তারিত কোনো পরিচয় দেয়া হয়নি। বলা হয়েছে, জেএমবি’র সঙ্গে তার সম্পর্ক রয়েছে। এ ব্যাপারে এন্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ) এর প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি কামরুল আহসান বলেন, ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এইসব সংগঠনকে কালো তালিকাভুক্ত করে একটি ভালো কাজ করেছে। এসব জঙ্গি সংগঠন সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে, তা আমরাও নজরদারি করছি। এসব জঙ্গি সংগঠনের মধ্যে তিনটি জঙ্গি সংগঠনকে সরকার আগেই নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। সেগুলো হলো হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশ (হুজিবি), আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি) ও জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)। তরিকুল ইসলাম নামে যে ব্যক্তিকে ফেসবুক কালো তালিকাভুক্ত করেছে, তার সম্পর্কে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
সূত্র জানায়, কমপক্ষে চার হাজার ব্যক্তি ও গ্রুপের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে ফেসবুক। এরমধ্যে দাতব্য সংস্থা, হাসপাতাল, লেখক, কয়েকশ’ সঙ্গীত শিল্পী, রাজনীতিক এবং প্রয়াত ঐতিহাসিক ব্যক্তিদের নাম রয়েছে। এদেরকে বিপজ্জনক হিসেবে মনে করে ফেসবুক। কয়েক বছরে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের একটি অনিবার্য পরিস্থিতির মুখে ফেলেছে তারা। সহিংসতা উস্কে দেয় এমন পোস্ট দিতে নিরুৎসাহিত করেছে ফেসবুক। এ বিষয়ে যেসব ব্যক্তি বা গ্রুপকে বিপজ্জনক মনে করছে তাদেরকে চিহ্নিত করছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক।