বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষনের অভিযোগ
যুবলীগ নেতা কাজলের কাছে সন্তানের পিতৃপরিচয় চান রাঙ্গামাটির নাজমা

বাংলাদেশ মেইল ::

রাঙ্গামাটি যুবলীগ নেতা নুর মোহাম্মদ কাজলের কাছে নিজের সন্তানের পিতৃ পরিচয় দাবী করে নিজেই  রাঙ্গামাটি ছাড়া হয়েছেন নাজমা নামে এক নারী। ভুক্তভোগী নারী এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন। নাজমার অভিযোগ রাঙ্গামাটি যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুর মোহাম্মদ কাজলের কাছে নিজের সন্তানের পিতৃ পরিচয় দাবী করতে গিয়ে রাঙ্গামাটি ছাড়তে হয়েছে তাকে।

প্রতিনিয়ত হুমকীর কারনে রাঙ্গামাটি ছাড়া হয়েছেন দাবি করে পরিবারের নিরাপত্তা চেয়েছেন মুনিরা জাহান নাজমা নামের এ নারী।

ভুক্তভোগী নারী বলেন, দীর্ঘ তিন বছরের শারীরিক  সম্পর্কের ফলে আমার ৩ টি সন্তান গর্ভপাত করতে হয়েছে। বর্তমানে  ৪ মাসের অন্তসত্তা আমি । এই সন্তানকে গর্ভপাত করার জন্য চাপ দেয়া হচ্ছে। ‘

নাজমাকে ছেড়ে  নতুন করে ১৪ বছরের এক মেয়েকে বিবাহ করার বিষয়েও তিনি লিখিত অভিযোগ করেন তিনি ।

নিজ সন্তান ও তাকে স্বীকৃতি দিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবী জানান নাজমা। নিজের নিরাপত্তার জন্য  তিনি রাঙ্গামাটির বাইরে দীর্ঘ ৩ দিন ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে দাবী করেন বিবৃতিতে।

জানা যায়,  রাঙ্গামাটি জজ আদালতে হাজির হয়ে ঐ নারী নুর মোহাম্মদ কাজলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে চাইলে আদালত রাঙ্গামাটি কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়েরের পরামর্শ প্রদান করেন। রাতে রাঙ্গামাটি কোতোয়ালী থানায় মামলার জন্য গেলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিষয়টি খতিয়ে দেখার প্রতিশ্রুতি দেন৷

ভুক্তভোগী  তার অভিযোগে বলেন, নুর মোহাম্মদ কাজল রাঙ্গামাটি জেলা যুবলীগ নেতা  কাজল দীর্ঘদিন ধরে আমাকে বিবাহ করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক তৈরি করেন। অভিযুক্ত কাজল ২০১৯ সালের  ৭ আগষ্ট  দুপুরে তার কাঠালতলীস্থ ঠিকাদারী অস্থায়ী অফিসে নিয়ে গিয়ে একজন হুজুরকে এনে দোয়া পড়িয়ে নাজমাকে বিয়ে করেন । কিন্তু বিভিন্ন সময় বিয়ের কাবিননামা চাইলে তা দেখাতে অস্বীকার করেন।

বিবাহের মিথ্যা নাটক সাজিয়ে,  প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে দিনের পর দিন  নিয়মিত ধর্ষণ করার অভিযোগ নাজমার । তিনি বলেন, আমি বিষয়টি সমাজের মানুষকে জানাতে চাইলে  ২০১৯ সালের ১৯ নভেম্বর  বিমানে করে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম নিয়ে আসে।

থানায় লিখিত অভিযোগে নাজমা আরো উল্লেখ করেন,  চলতি বছরের ১ লা আগস্ট মোবাইলে কাজলকে নতুন করে গর্ভধারণের বিষয়ে অবহিত করেছিলেন। কিন্তু কাগজ মেসেন্জারে তাকে জানায় যে সামজিক স্বীকৃতি দেয়া সম্ভব নয়।

গর্ভবতী ধারনেন ডাক্তারী রিপোর্ট নাজমার কাছে রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগে। এছাড়া বিভিন্ন সময় ১৫ লক্ষ টাকা নাজমার কাছ থেকে ধার নিয়েছেন কাজল।

এদিকে,  মুনিরা জাহান নাজমা পরিকল্পিতভাবে সুনামহানির ষড়যন্ত্র করছে বলে দাবি করেছেন যুবলীগ নেতা নুর মোহাম্মদ কাজল। তিনি বলেন,  মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ করে আমাকে সামাজিকভাবে হয়রানী করতে চাইছে একটি চক্র।

মুনিরা জাহান নাজমা নামের একজন লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কবির আহমেদ। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।