বাংলাদেশ মেইল ::
নগরের মুরাদপুরের ‘মেজ্জান হাইলে আইয়ুন’ রেস্টুরেন্টকে খাবার খোলা অবস্থায় সংরক্ষণ করায় ১০ হাজার জরিমানাসহ সতর্ক করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
রোববার (১৪ নভেম্বর) এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অধিদফতরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা বহদ্দারহাট, আরাকান রোড, দুই নম্বর গেট ও মুরাদপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় ৬ প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় ৬৬ হাজার টাকা প্রশাসনিক জরিমানা করা হয়। মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ, পণ্যসামগ্রী, অননুমোদিত রাসায়নিক ও বাসি খাবার ধ্বংস করা হয়। পাশাপাশি একটি লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয়।
এপিবিএন ৯ এর সহায়তায় পরিচালিত অভিযানে নেতৃত্ব দেন অধিদফতরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ, সহকারী পরিচালক (মেট্রো) পাপীয়া সুলতানা লীজা, সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার ও চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।
মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, মুরাদপুরের ‘মেজ্জান হাইলে আইয়ুন’ রেস্টুরেন্টকে খাবার খোলা অবস্থায় সংরক্ষণ করায় ১০ হাজার জরিমানাসহ সতর্ক করা হয়েছে।
এ ছাড়া পাঁচলাইশ থানার দরবার ডিপার্টমেন্টাল স্টোরকে মেয়াদোত্তীর্ণ সরিষার তেল বিক্রির জন্য রাখা ও মোড়কজাত বিধিনিষেধ না মেনে পণ্য সংরক্ষণ করায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা, পূর্ব নাসিরাবাদ এলাকার এয়ার মোহাম্মদ স্টোরকে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ৩ হাজার টাকা এবং রোকেয়া ফার্মেসিকে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ও মেয়াদবিহীন কাটা ওষুধ সংরক্ষণ করায় ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আরাকান রোডের গ্র্যান্ড নেওয়াজ হোটেলকে অ্যামোনিয়া ব্যবহার, ফ্রিজে কাঁচা মাছ-মাংসের সঙ্গে অন্য খাদ্য সংরক্ষণ এবং কিচেনে খোলা ডাস্টবিন রাখায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ফাইভ ব্রাদার্স এন্টারপ্রাইজকে বেশি দামে সয়াবিন তেল বিক্রি করায় জনৈক ভোক্তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১ হাজার টাকা জরিমানাসহ সতর্ক এবং মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জনস্বার্থে এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।