জোবাইর চৌধুরী,বাঁশখালী ::
বহুল প্রতিক্ষিত চট্টগ্রামের বাঁশখালী পৌরসভা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ কাল। নির্বাচন উপলক্ষে নিরাপত্তার চাদরে ডাকা পুরো পৌর এলাকা। প্রথমবারের মতো ইভিএম পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে এই নির্বাচনের ভোট গ্রহণ।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী গতকাল শনিবার রাতে শেষ হয়েছে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা। শুক্রবার পৌরসভার ১১টি কেন্দ্রে মক ভোটিং কার্যক্রম ও শনিবার (১৫ জানুয়ারী) বিকালে ইভিএম মিশিন বিতরণ করা হয় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাধারণ ভোটারদের মাঝে নানা ধরনের শঙ্কা কাজ করলেও অনেকটাই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে প্রচার- প্রচারণার কার্যক্রম শেষ করতে পেরেছেন প্রার্থীরা।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর নজরদারীর পাশাপাশি কাল রোববার শতভাগ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। এবারের পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদন্ধীতা করছেন। যথাক্রমে আওমালীগের প্রার্থী নৌকা প্রতীকে এড. তোফাইল বিন হোছাইন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মোবাইল প্রতীকে সাবেক মেয়র কামরুল ইসলাম হোছাইনী প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন। নির্বাচনে তাদের মধ্যে দ্বিমুখী তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে আভাস মিলেছে। অপরদিকে, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে তিনটি ওয়ার্ডে ১০জন এবং ৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪৪ জনসহ দুই পদে সর্বমোট ৫৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, ভোট গ্রহণের দিন ১১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ২ প্লাটুন বিজিবি, ২ প্লাটুন র্যাবসহ প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশের মোবাইল ফোর্স ও স্ট্রাইকিং ফোর্স ও পৌর এলাকায় টহল ব্যবস্থা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ কামাল উদ্দীন জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভোটকেন্দ্র ও আশপাশের এলাকায় তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। এতে সাধারণ ভোটাররা একেবারে নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট প্রদান করতে পারবেন। কারো মাঝে কোনো ধরনের শঙ্কা যাতে কাজ না করে সেজন্য ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে প্রশাসন।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার ফয়সাল আলম জানান, ৯টি ওয়ার্ডের ১১টি কেন্দ্রে ৮৭টি বুথে ইভিএম পদ্ধতিতে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। ২৬ হাজার ৯৮০ জন নারী-পুরুষ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে নতুন পৌরসভার নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবেন।
এ ব্যাপারে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার জাহাঙ্গীর বলেন, শতভাগ সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। নির্বাচনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য কঠোর থেকে কঠোরতম পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
