ঝাড়ু মিছিল আর বিক্ষোভে নড়বড়ে নগর ছাত্রদলের ইউনিট কমিটি

বাংলাদেশ মেইল ::

সদ্য ঘোষিত কোতোয়ালী থানা ছাত্রদলের ইউনিট  কমিটির বিরুদ্ধে আহ্বায়ক কমিটির একাংশের নেতারা ঝাড়ু ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে। মঙ্গলবার  (১২ এপ্রিল) বিকালে কাজীর দেউড়ী মোড় থেকে শুরু হয়ে বিক্ষোভ মিছিলটি নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

এসময় সদ্য ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটির সাত জন যুগ্ম আহ্বায়ক উপস্থিত ছিলেন। এরা হলেন সাইদুল ইসলাম ফায়সাল, কুতুবউদ্দিন মুন্না, মোহাম্মদ হানিফ, শাহাদাত হোসেন নাবিল, শাহ নেয়াজ তুষান, জাহেদুল ইসলাম জাহেদ, সিফাত উল রাফসান।

এসময় যুগ্ম আহ্বায়করা বলেন, গত ৯ এপ্রিল রাতের আঁধারে যে কমিটি দেওয়া হয়েছে তা হলো উত্তর জেলার নেতা মীর হেলালের পকেট কমিটি। এবং নগর ছাত্রদলের সুপার ফাইভের জন্য ঈদ বোনাসের কমিটি। এই কমিটিতে টাকার বিনিময়ে সুবিধা নিয়েছে অনুপ্রবেশকারী, অছাত্র, বিবাহিতরা। আর্থিক  লেনদেনের মাধ্যমে জুনিয়রকে সিনিয়র বানানো হয়েছে। এবং সিনিয়রদের জুনিয়রদের নিচে নামিয়ে দিয়ে অবমূল্যায়ন এবং অপমান করা হয়েছে।

বক্তারা আরো বলেন শুধু কোতোয়ালী থানা নয় সদ্য ঘোষিত ২৬ টি ইউনিট কমিটি সবকটিতেই প্রায় একই অবস্থা। নগর ছাত্রদলের সুপার ফাইভদের মাই ম্যান এবং ওয়ান ম্যান দের জয়জয়কার। তাছাড়া ছাত্রলীগ থেকে অনুপ্রবেশকারীরা মুল পদে আসীন হয়েছে বিকাশ নেতাদের কল্যানে। ‘

ছাত্রদলের নেতারা অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণকে চট্টগ্রাম মহানগর গোছানোর দায়িত্ব দেওয়া হয় ২০২০ সালের প্রথম দিকে। কেন্দ্র থেকে সারা বাংলাদেশের ইউনিট কমিটিগুলো ২০০৩ সাল এসএসসিকে মানদন্ড  নির্ধারণ  করে দিলেও, শ্রাবণ বিরাট অংকের টাকা নিয়ে ২০০৫ সাল এসএসসি ব্যাচ দিয়ে কমিটি পাশ করিয়ে নেয় কেন্দ্র থেকে -এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সর্বশেষ গত মাসে শ্রাবণ চট্টগ্রাম এসে একই কাজ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রদলের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।

এদিকে, খুলশী ও চকবাজার  থানা ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরাও নগরীতে দফায় দফায ঝাঁড়ু মিছিল বের করেছে।