চট্টগ্রামে বিএনপির বিশাল সমাবেশ
সমাবেশে কর্মী না আসলেও মঞ্চে গলাবাজি দক্ষিণ জেলা বিএনপি নেতাদের

বাংলাদেশ মেইল ::

শুক্রবার (২৭ মে) বিকালে চট্টগ্রাম মহানগরী পুরাতন রেল ষ্টেশন চত্বরে বেগম খালেদা জিয়াকে পদ্মা নদীতে চুবিয়ে প্রধানমন্ত্রীর হত্যার হুমকির প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ও উত্তর জেলা বিএনপির তেমন অংশগ্রহণই ছিলো না।

উত্তর জেলার মধ্যে মিরসরাই উপজেলা থেকে বড় একটি মিছিল সমাবেশে এসে যোগ দেয়৷ মিছিলে অংশ নেয়া নেতাকর্মিদের হাতে বেগম জিয়ার ছবির পাশাপাশি  আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর ছবি সম্বলিত প্লে কার্ড দেখা যায়।

মিছিল, সমাবেশে কোন অংশগ্রহন না থাকলেও বক্তব্য দিয়ে নিজেকে জাহির করার চেস্টা করেছেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান-এমন অভিযোগ বিএনপি নেতাদের। সমাবেশ উপস্থিত নেতাকর্মীদের সাথে  নিজের বক্তব্য দেবার ছবি যুক্ত করে ফেসবুকে পোস্টও দিয়েছেন  তিনি।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাতকানিয়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক  জামাল হোসেনও। সাতকানিয়া উপজেলা থেকে ১৬/১৮ জনের একটি মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দিয়েছেন তিনিও৷ এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে জামাল হোসেন ও সাতকানিয়ার বিতর্কিত কমিটি নিয়ে আন্দোলন করছে সাতকানিয়া উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা। সমাবেশে বক্তব্য দেবার ছবির সাথে সমাবেশের উপস্থিতির ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে  পোস্ট করেছেন জামাল হোসেনও ।

এদিকে, দক্ষিণ জেলা বিএনপির অংশগ্রহণ না করা নিয়ে সমালোচনা করেছেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব  আবুল হাসেম বক্কর। তিনি বলেন, ‘ দলের এমন কর্মসূচিতে কিছু নেতা নিজে নিজে এসে বক্তব্য দিয়ে চলে জান, কিন্তু মানুষ নিয়ে সমাবেশে আসার কোন চিন্তা নেই। এভাবে দলের সমাবেশ কিভাবে সফল হবে?  ‘

বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নিয়েছেন আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর অনুসারীরা। মহানগরের প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে মিছিল সহকারে সমাবেশস্থলে গিয়ে যোগ দেন তারা। সমাবেশে যোগ দিয়েছেন নগর বিএনপির আহবায়ক ডাঃ শাহাদাত হোসেনের অনুসারীরাও।

দলের একটি সুত্র জানায়, বিএনপির সমাবেশে স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদের সক্ষমতা প্রশ্নবিদ্ধ করতেই লোকসমাগম কমাতে চেয়েছিলেন দলের কিছু নেতা। কিন্তু বিক্ষোভ সমাবেশে নগরীর বিভিন্ন ইউনিট থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত হন। ব্যানারে নাম থাকলেও চট্টগ্রাম দক্ষিণ ও উত্তর জেলা বিএনপির অংশগ্রহন ছিলো একেবারেই নগন্য। কর্মীদের উপস্থিতি নগন্য হলেও নিজেদের বক্তব্য রাখার ছবি প্রচারে এই দুই জেলা শাখার নেতাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা লক্ষ করা গেছে।

তবে এই বিক্ষোভ সমাবেশকে বেশ সফল বলে উল্লেখ করে সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, সারাদেশের মতো চট্টগ্রামে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতিতেই বুঝা যায় সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন দিন দিন সংগঠিত হচ্ছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, পদ্মা সেতুতে বাড়তি ৩০ হাজার কোটি টাকা খরচ দেখানো হয়েছে। ১০ হাজার কোটি টাকার সেতু ৪০ হাজার কোটি টাকা। বাকি ৩০ হাজার কোটি টাকা কোথায়? আমরা জানি কোথায় গেছে। অচিরেই এগুলো সব বের হবে।