পুরোনো ছবি দিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি
‘ডামি মিছিলে’ সাতকানিয়া বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন

সাতকানিয়া প্রতিনিধি, বাংলাদেশ মেইল ::

তেল গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে উপজেলা পর্যায়ে বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনে অভিনব পদ্ধতি অনুসরন করেছে সাতকানিয়া উপজেলা বিএনপির নতুন গঠিত আহবায়ক কমিটি। পুরোনো ছবিতে ব্যানার পাল্টে এই কর্মসূচি পালন করে ব্যাপক সমালোচনার জম্ম দিয়েছে সাতকানিয়া উপজেলা ও পৌর বিএনপি।

এর আগেও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির শাখা সংগঠন সাতকানিয়া উপজেলা জেলা ও পৌর বিএনপির সদ্য ঘোষিত আহবায়ক কমিটির নানা অসঙ্গতি খবরের শিরোনাম হয়েছে অনুমোদনের পর থেকেই। কমিটিতে মৃত ব্যক্তিকে সদস্য বানিয়ে ব্যাপক হাস্যরসের জন্ম দিয়েছিলেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির বিএনপি আহবায়ক ও সদস্য সচিব।

সোমবার (১৩ জুন) কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ  কর্মসূচি পালন না করে ‘ব্যানার পাল্টে’  আগের মিছিলের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন আহবায়ক জামাল হোসেন। একই ছবি দৈনিক দিনকাল পত্রিকায় ছাপানো হয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হলে ব্যাপক হাস্যরসের সৃস্টি হয়েছে দক্ষিণ জেলার রাজনীতিতে।

অনুসন্ধানে জানা যায়,  ১১ জুন আয়োজিত  একটি মিছিলের ব্যানার পাল্টে সাতকানিয়া  উপজেলা বিএনপিও পৌর বিএনপি বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনে করা হয়েছে- এমন  ছবি নিজের ফেসবুকে ছেড়েছেন জামাল হোসেন ও তার অনুসারীরা । পুরোনো মিছিল এবং ব্যানার পাল্টানো ছবি খুব সহজেই ধরা পরেছে একই পোশাককের কারনে । ডামি ছবিটিকেই দ্রব্য মুল্যের দাম বৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্র ঘোষিত  বিক্ষোভ মিছিল হিসেবে চালিয়ে দিয়েছে সাতকানিয়া বিএনপি ৷ অনুসন্ধানে দেখা যায়,  দুই ছবিতেই মিছিলের সামনের সারিতে থাকা জামাল হোসেনসহ বাকিদের পোষাক একই। দাঁড়ানের স্থানও একই। শুধু ব্যানারটি পরিবর্তিত হয়েছে ।

দৈনিক দিনকাল পত্রিকায়  প্রকাশিত (১১ জুন) ছবিতে দেখা যায় সাতকানিয়া উপজেলা বিএনপির ব্যানারে আয়োজিত দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে ‘ দোয়া ও খতমে কোরআন ‘ অনুষ্ঠান। আলোচনা সভায় বক্তব্যের ছবি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়  নেতাদের সবার পরিহিত পোষাকের সাথে ১৩ জুন (সোমবার)  দ্রব্য মুল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলের ছবিতে পরিধান করা পোষাক একই।

পুরোনো ছবিতে আলোচনা সভার মঞ্চে সাতকানিয়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক জামাল হোসেন একটি ‘হালকা গোলাপী’ কালারের পাঞ্জাবী পরা আছেন, বামের জন এ্যাশ কালারের শার্ট, ডান পাশে বসা হালকা অফ হোয়াইট স্ট্রাইপের শার্ট।

সোমবার (১৩ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো  বিক্ষোভ মিছিলের ছবিতেও একই পাঞ্জাবি পরিহিত রয়েছেন সাতকানিয়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক  জামাল হোসেন। তার পাশের বাকি দুইজনের পোষাকও অপরিবর্তিত আছে। মিছিলের সামনে থাকা সবার পোশাক আর দুইদিন আগের মিলাদ মাহফিলের পরে আসা পোশাক হুবহু মিল রয়েছে। স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে দুই দিন আগের মিলাদ মাহফিলের পরে (১১ জুন) বিক্ষোভ মিছিলের ব্যানার লাগানো হয়েছে। সেই ছবিটিই পাঠানো হয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে।

জানা যায়, কমিটি ঘোষণার পর থেকে তৃনমুল বিএনপির নেতাকর্মীদের প্রতিরোধের মুখে সাতকানিয়া সদরে কোন সভা সমাবেশ করতে পারিনি আহবায়ক কমিটি। কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচিও পালন করতে পারি নি তারা। আহবায়ক কমিটির আহবায়ক জামাল হোসেনের উত্তর মাদার্শা বাড়ির আঙ্গিনায়  শুক্রবার বিকেলে দোয়া মাহফিল করে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে। বাড়ির ছাদেই এই মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানা যায়।

সুত্রমতে, পরিকল্পনা ছিল শুক্রবারের (১১ জুন) দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা পরবর্তীতে ( ১৩ জুন) বিক্ষোভ মিছিল হিসেবে চালিয়ে দেয়া হবে । প্রস্তুতি অনুযায়ী দুটি ব্যানার প্রিন্ট করে আনা হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী দ্রব্য মুল্যের দাম বৃদ্ধির বিক্ষোভ কর্মসূচির মিছিলের ছবি ব্যানারসহ তোলে রাখাও হয়৷ কিন্তু সেই দোয়া মাহফিল শেষে দলের কর্মীদের সংঘাতের কারনে পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।

দোয়া মাহফিলের পুরোনো ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পায়। প্রকাশ পায় হাসপাতালে তোলা বিভিন্ন ছবি।

সুত্রমতে, আহবায়ক কমিটির আহবায়ক জামাল হোসেনের উত্তর মাদার্শা বাড়ির রাস্তায় ডামি ফটোশুট করা হয়। সোমবার (১৩ জুন) বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে বলে প্রকাশ করা হয়  আগের তুলে রাখা ছবি। বিষয়টি জানাজানি হলে সমালোচনায় মুখর হন দলের নেতাকর্মীরা।

দৈনিক দিনকালে প্রকাশিত ছবি অনুযায়ী সোমবার সাতকানিয়ায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, ১১ জুনের পরে কোন মিছিল, সভা সমাবেশ করতে দেখা যায় নি বিএনপির আহবায়ক কমিটির নেতাকর্মীদের।

অন্যদিকে, সোমবার (১৩ জুন)  আমিরাবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায় সাতকানিয়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির  পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের। সোমবার বিকেলে আগের তোলা ‘ডামি প্রতিবাদ মিছিলের ছবি’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাড়া হয়। পাঠানো হয়েছে গণমাধ্যমেও।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য ও দলের প্রবীণ নেতা মোশারফ হোসেন বলেন,  ‘ মিলাদের পরে বিক্ষোভ কর্মসূচির ব্যানার লাগিয়ে  ছবি তুলে সেটি আবার দুইদিন পরে উপজেলা বিএনপির বিক্ষোভ হিসেবে পত্রিকায় ছাপাচ্ছেন। এটা দলের সাথে রীতিমতো প্রতারণা। সেই ছবি নিজের ফেসবুকে ছেড়েছেন। কেমন নির্লজ্জের মতো কাজ। এদের কারা বিএনপিতে জায়গা দিয়েছে!  ‘

ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহানও। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার জন্য খতমে কোরআন মাহফিল করেছেন। সাতকানিয়া উপজেলা  বিএনপির ব্যানারে করা অনুষ্ঠানটি হয়েছিল উত্তর মাদার্শায়। এখন যা দেখছি রীতিমতো অবাক আমি। গ্যাসসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মুল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি রাজপথে করার কথা। পুরোনো মিছিলের ব্যানার পাল্টে এমন প্রতারণা করা শোভনীয় নয়। এটি দলের সাথে  স্পস্ট প্রতারণা। ‘

তিনি বলেন, ‘ যুবদলের নেতাকর্মীদের নিয়ে আমরা প্রতিটি কর্মসূচি পালন করে আসছি। এটা আমাদের দায়িত্ব। কিন্তু এমন প্রতারনা করে যারা দলের কর্মসূচিকে হাসি ঠাট্টার অপকরন বানিয়েছেন, দল নিশ্চয়ই এদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে। ‘

এমন ব্যানার পাল্টানো বিক্ষোভ মিছিলের ছবি হাস্যরসের সৃস্টি করেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝেও।

জানতে চাইলে যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শারমিন ওয়াদুদ নিপা বলেন,   বিএনপির সব কর্মসুচীই মুলত ফেসবুকে । মুখে সরকার পতনের গল্প আওড়ানো  সারাদেশের বিএনপি নেতারা ফেসবুকে বিক্ষোভ মিছিল করে কোনভাবে রাজনীতির মাঠে টিকে আছে । ব্যানার পাল্টে এভাবে বিক্ষোভ  কর্মসূচি উপস্থাপন করা বিএনপির মতো অস্তিত্বহীন দলেরই সাজে। ‘

জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি নাহিয়ান  জয় বলেন,  ‘ পুরোনো মিছিলের ব্যানার পাল্টে দ্রব্য মুল্যের দাম বৃদ্ধির বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের উদাহরণ নতুন কিছু নয়। প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী  বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনার উন্নয়নে হতাশ বিএনপির হাতে কোন ইস্যু নেই । ‘

এবিষয়ে নেতিবাচক সমালোচনায় মুখর হয়েছেন নেটিজেনরাও। তাদের কেউ কেউ বলছেন ব্যানার পাল্টে ছবি তুলে এমন মিছিল একটি সাশ্রয়ী বিক্ষোভ মিছিল রাজনীতির নতুন সংস্করণ । কেউ কেউ আবার এর নাম দিয়েছেন ‘ এক টিকেটে দুই ছবি ‘।

তৃণমূলের বিএনপি  নেতা-কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছেন,  ‘দলের দায়িত্বে নেতা হিসেবে এমন কিছু জামাল হোসেন থাকলেই হবে। সরকার পরিবর্তন করতে বিএনপির হাজার বছর লাগবে৷ ‘

উল্লেখ, দফায় দফায় ঝাড়ু মিছিল বের করে শুরু থেকেই সাতকানিয়া উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপির আহবায়ক কমিটিতে মৃত ব্যক্তিকে সদস্য করা, রোহিঙ্গা পাচারের হোতা, পাসপোর্ট জালিয়াতির সর্দারকে পদায়নের প্রতিবাদ  করে আসছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। তাদের অভিযোগ বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মীর হেলালের অনুসারী হিসেবে পরিচিত জামাল হোসেনকে টাকার বিনিময়ে আহবায়ক করা হয়েছে। তার কো অবস্থান এলাকায় নেই। বিভিন্ন দলের দলছুট কিছু কর্মী নিয়ে দোকান খুলেছেন তিনি।

দলের ঘনিষ্ঠ একটি সুত্র জানায়, ‘ দলের সক্রিয় কোন কর্মী না হলেও একসময়  বিএনপির সাবেক মন্ত্রী মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনের কর্মচারী ছিলেন জামাল। মীর নাসির সৌদি আরবের রাস্ট্রদুত থাকাকালীন সময়ে তার বাসার মেসিয়ার হিসেবে কাজ করেছিলেন । পরবর্তীতে মীর নাসির বেসামরিক বিমান চলাচল  মন্ত্রী হবার পর ভাগ্য খুলে যায় জামালের। রিক্রুটিং এজেন্সির লাইসেন্স পেয়ে যান মন্ত্রীর বদৌলতে। রোহিঙ্গা পাচারের সাথে জড়িয়ে পড়েন। পাসপোর্ট জালিয়াতি চক্রের সাথেও জড়িত সেই জামাল এখন সাতকানিয়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক। ‘

এদিকে, ব্যানার পাল্টে অভিনব বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের বিষয়ে জানতে জামাল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদের মুঠোফোনও বন্ধ পাওয়া গেছে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক  মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, ‘ বিষয়টি আমি জানি না। তবে চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এমন অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।  ‘

এদিকে,  দলের নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়,  একই কৌশলে রাজনীতির মাঠে রয়েছে  হাটহাজারী উপজেলা বিএনপি, ছাত্রদল,যুবদলও।  নগরীর অক্সিজেন মোড়, কোয়াইশ অথবা অনন্যা আবাসিকের নিরিবিলি রাস্তায় মিছিলের ছবি তুলে ফেসবুকে দিয়ে বলা হয় ‘ হাটহাজারী সদরে ছাত্রদলের বিক্ষোভ ‘।

অনুসন্ধানে, মিছিলের স্থান পরিবর্তন করে পোস্ট করা এমন ছবির খোঁজ মিলে ব্যারিস্টার মীর হেলালের ফেসবুক পেইজেও।

জানতে চাইলে বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে উত্তর জেলা  ছাত্রদলের এক নেতা জানান,  ‘ সবসময় হাটহাজারী যাওয়া সম্ভব হয় না। সে কারনে অনন্যা আবাসিক এলাকার রাস্তায় আমরা মিছিল করি। পুলিশের ঝামেলাও আছে। তবে আমরা মিছিল করি বায়েজিদে, কারন এটি শহরের কাছে। বায়েজিদও তো হাটহাজারী আসনে পড়েছে। ‘

এমন অন্তত ১১ টি ছবির সন্ধান মিলেছে যার সবকটিকেই হাটহাজারীতে করা হয়েছে বলে ফেসবুকে পোস্ট করা হয়েছে। শহরে এমন কর্মসূচি পালন করার খবর দৈনিক দিনকালেও ছাপা হয়েছে।

এই বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক এক সভাপতি বলেন, আসলে এক স্থানে মিছিল করে অন্য স্থান বলে চালিয়ে দেয়া একটা কৌশল। এটি বর্তমানে উত্তর জেলা ছাত্রদলের, যুবদলের ট্রাডিশন হয়ে গেছে। তাদের নেতাও সবকিছু জানেন । এভাবে অনৈতিক কাজ করে দলের ভরাডুবি নিশ্চিত করে ফেলা হয়েছে। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যতটা সরব  আন্দোলন সংগ্রামে মিছিলে ততটাই নিরব। মুলত এদের রাজনীতি ফেসবুকে।  ‘

ব্যানার পাল্টে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন ও স্থান পরিবর্তন করে মিছিলের শোডাউনের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বিআরটিসি এলাকায় ছাত্রলীগের হাতে বেদম পিটুনি খাওয়ার পর। জানা গেছে,  একই কৌশলে বায়েজিদের বিআরটিসি থেকে মিছিল বের করার প্রস্তুতি নেবার সময় স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাদের তোপের মুখে পড়ে হাটহাজারী ও জেলা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ৷ এই ঘটনায় ৫ জনকে মারধর করে ছাত্রলীগের নেতারা।

এদিকে, ব্যানার পাল্টে বিক্ষোভ মিছিলের ছবি প্রচার ও স্থান পরিবর্তন করে কর্মসূচি পালনের বিষয়টি জেনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য। তারা বলেন, এই বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হবে৷ ঘটনা সত্যি হলে অবশ্যই সাংগঠনিক  ব্যবস্থা নেয়া হবে।