বিএম ডিপো ট্রাজেডি
ডিএনএ টেস্টে শনাক্ত হলো আট লাশের পরিচয়

বাংলাদেশ মেইল ::

এক মাস দুইদিন পর চট্টগ্রামে সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় উদ্ধার হওয়া  অজ্ঞাত পরিচয় মরদেহগুলোর মধ্যে ডিএনএ পরীক্ষায়  আটজনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে থাকা ২২ লাশের মধ্যে ৫ জনের পরিচয় জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক।

শনাক্ত হওয়া আটজন হলেন আকতার হোসেন আবুল হাশেম, বাবুল মিয়া, মনির হোসেন, মো. সাকিব, মো. রাসেল, মো. শাহাজান ও আবদুস সুবহান প্রকাশ আবদুর রহমান।

সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের সুত্রমতে,  বুধবার রাতে  ডিএনএ পরীক্ষার ফল আসে। ফলাফলে প্রথম দফায় আটটি অজ্ঞাত পরিচয় মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। এই মরদেহগুলোর মধ্যে পাঁচটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, দুটি আঞ্জুমান মুফিদুলে এবং একটি কক্সবাজারে রয়েছে।

সিআইডি চট্টগ্রামের ফরেনসিক ল্যাবের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত  বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ  জাহাঙ্গীর আলম বলেন, চট্টগ্রামের বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণে মারা যাওয়াদের মধ্যে যে ২২ জনের পরিচয় জানতে ডিএনএ টেস্ট করা হয়েছিল তাদের মধ্যে ৮ জনের পরিচয় মিলেছে। বাকি লাশগুলোর ডিএনএ টেস্ট এখনো চলমান রয়েছে। । ‘

এই বিষ্ফোরনের ঘটনার পর থেকে উদ্ধার হওয়া ৪১ টি মরদেহের মধ্যে পরিচয় পাওয়া যায় ২৫ জনের। এরপর ঢাকা ও চট্টগ্রামে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনজন। ৬ জুন থেকে ৬ জুলাই পর্যন্ত বিএম কনটেইনার ডিপো থেকে দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয় ছয়টি। এরপর প্রথম দফায় ডিএনএ পরীক্ষায় পরিচয় মেলে আটটি মরদেহের। এখন পর্যন্ত উদ্ধার হওয়া ৫১ টি মরদেহের মধ্যে  পরিচয় শনাক্ত হয়নি ১৪ জনের।

প্রসঙ্গত, গত ৪ জুন রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার শীতলপুরে অবস্থিত বিএম কনটেইনার ডিপোতে সৃস্টি হওযা অগ্নিকাণ্ড ভয়াবহ বিষ্ফোরনে রুপান্তরিত হয়। সেই ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীসহ  ৫১ জন।