আশার বাণী শোনালেও ভাগ্য পরিবর্তন হয়নি হাটহাজারীর মুরাদ সড়কের

বাংলাদেশ মেইল ::

চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের চারিয়া বাজার হইতে জন গুরুত্বপূর্ণ মুরাদ সড়কটি উপজেলার ছিপাতলী, গুমানমর্দন, নাঙ্গলমোড়াসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের সংযোগ সড়ক।সড়কটি দিয়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, সরকারি বেসরকারি চাকরিজীবী ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ যাতায়াত করে থাকেন।

প্রায় পাঁচ হাজার গাড়িসহ প্রতিদিন পঞ্চাশ হাজারের অধিক মানুষের যাতায়াত হয় এই সড়কে। দীর্ঘ সংস্কারের অভাবে খানাখন্দ থেকে পর্যায়ক্রমে যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েন সড়কটি। জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টরা সড়কটি সংস্কার করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আশার বাণী শোনালেও দীর্ঘ ছয় বছরে সড়কটিতে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। তাই জনদুর্ভোগ লাঘব করে দ্রুত সড়কটি সংস্কার করা দাবি স্থানীয়দের।

সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের কার্পেটিং উঠে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। আবার বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং এর কোন অস্তিত্ব নেই। কয়েকটি স্থানে ইটের সোলিংয়ের কিছুটা নমুনা থাকলেও সড়ক থেকে ইট খুলে আশেপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে মেরামতের অভাবে এবং ভারি যানবাহন চলাচলের কারণে এই সড়কটিতে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কে চলাচলে ভোগান্তির কোন শেষ নেই। অনেক সময় প্রসূতি মহিলা ও সাধারণ রোগীদের সড়ক দিয়ে চলাচলের কারণে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনের কাছে এই সড়ক দ্রুত সংস্কার করার আহ্বান জানান।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আখতার হোসেন খান সুমন বলেন, মির্জাপুরে যতগুলো এলজিইডির অন্তর্ভুক্ত সড়ক আছে সবগুলোই গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। হাটহাজারী উপজেলায় এলজিইডির সড়কের পরিমাণ অনেক বেশি হওয়ায় কাজ একটু ধীরে হচ্ছে। এলজিইডির অন্যান্য প্রকল্পভুক্ত সড়কের মতো এই সড়কটি যেন গুরুত্ব দিয়ে মেরামত করে তা উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। আশা করি খুব শীঘ্রই সড়কটি টেন্ডারে যাবে।

ছিপাতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আহসান লাভু বলেন, এই সড়কটি মূলত এলজিইডির অন্তর্ভুক্ত। ছিপাতলী অংশ এবং মির্জাপুর অংশের ব্যাপারে ইতিমধ্যে এমপি মহোদয় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। আমিও বেশ কয়েকবার এ বিষয়ে সবোর্চ্চ গুরুত্ব দিয়ে চেষ্টা করেছি।

এবিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী জয়শ্রী দে বলেন, সড়কটি সম্পর্কে আমি অবহিত আছি। ইতিমধ্যে সড়কটির তালিকা পাঠানো হয়েছে। শীঘ্রই টেন্ডার প্রক্রিয়ায় এনে কাজ শুরু করা হবে।