নগরীতে হেলাল আকবর বাবরের শোডাউন

বাংলাদেশ মেইল ::

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের নেতা কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক উপ দপ্তর সম্পাদক হেলাল আকবর বাবরের   উদ্যোগে নৈরাজ্য ও সন্ত্রাসের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও  সমাবেশে বিশাল জনসমাগম  চট্টগ্রাম শহরের রাজনীতিতে আলোচনার নতুন বিষয়।

শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) নগরীতে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বিশাল মিছিলের আয়োজন করে বাবরের অনুসারীরা। মিছিলে প্রচুর জনসমাগম চট্টগ্রামে রাজনীতিতে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল চারটায় নগরের নন্দনকানন ডিসি হিল থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে নিউমার্কেট, স্টেশন রোড, সিআরবি, জুবিলি রোডসহ নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় ডিসি হিল এসে শেষ হয়।

অবশ্য হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর বলছেন, রাজনৈতিক কোন  শোডাউন নয় বরং সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতাকে যারা রুখে দিতে চাই তাদের প্রতি সতর্কবার্তা।

হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর বলেন, বিএনপি আন্দোলনের নামে দেশজুড়ে সাধারণ পথচারীসহ পুলিশের ওপর হামলা করে জনমনে ভয়ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টি করে সরকারের উন্নয়নমূলক অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত করতে চায়। সাধারণ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা এই দেশদ্রোহী ষড়যন্ত্র রুখে দিতে আমাদের আজকের এই বিক্ষোভ মিছিল ও গণপথযাত্রা।

সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন গাজী মোহাম্মদ জাফরউল্লাহ, রিটু দাশ বাবলু, শিবু প্রসাদ চৌধুরী, নুরুল আজিম রনি, মনোয়ার আলম নোবেল, রেজাউল হক রুবেল প্রমুখ।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ধরে একাধিক ধারায় বিভক্ত। এর মধ্যে প্রধান দুটি ধারা সব সময় সক্রিয়, কখনো কখনো মুখোমুখি অবস্থানে থাকে। নগর আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন এই দুটি ধারার নেতৃত্বে ছিলেন। প্রয়াত মহিউদ্দিন চৌধুরীর বলয়টি বর্তমানে দেখভাল করছেন তার ছেলে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। প্রয়াত মহিউদ্দিন চৌধুরীর আস্থাভজন হিসেবে পরিচিত ছিলেন হেলাল আকবর বাবর। চট্টলবীর মহিউদ্দিন চৌধূরীর সংস্পর্শে থেকে  রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন ১৯৮৮ সালে নন্দনকানন ইউনিট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে। পর্যায়ক্রমে ১৯৮৯ সালে এনায়েত বাজার ওয়ার্ড ছাত্রলীগ এর সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯৭ সালে ওমরগণি এম.ই.এস. কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রসংসদ এর জি-এস নির্বাচিত, ১৯৯৯ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে গঠিত চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য, ২০০৩ সালে কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগ এর সদস্য, ২০১০ সালেও কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগ এর সদস্য এবং ২০১৩ সালে কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগ এর উপ-অর্থ সম্পাদক হন।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, নগর আওয়ামী লীগের  কমিটিকে গুরুত্বপূর্ণ পদে আসতে চান হেলাল আকবর চৌধূরী বাবর, সে কারণে শহরে নিজের রাজনৈতিক শক্তিমত্তা প্রদর্শন করা শুরু করেছেন তিনি।  ইসমাইল হোসেন সম্রাটের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসাবে পরিচিত ছিলেন উপ অর্থ সম্পাদক হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর। দুর্নীতিবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার আগে চলে যান দুবাই৷ দুবাই থেকে ফিরে নিজের রাজনৈতিক  অবস্থান পুনরুদ্ধারের পাশাপাশি সামাজিক কর্মকাণ্ডেও জড়িয়েছেন নিজেকে।