বাবুল আক্তারসহ ৭ জনকে আসামি করে মিতু হত্যা মামলায় পিবিআই

মিতু হত্যা
বাংলাদেশ মেইল::
মামলায় আসামিরা হলেন- সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার, মোতালেব মিয়া প্রকাশ ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, এহতেশামুল হক ভোলা, শাহজাহান মিয়া, কামরুল ইসলাম শিকদার প্রকাশ মুছা ও খায়রুল ইসলাম প্রকাশ কালু। এদের মধ্যে মুছা ও কালু পলাতক রয়েছে। অভিযোগপত্রে তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই উল্লেখ করেছে, পরকীয়ার ঘটনা জেনে যাওয়ায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার তার সোর্সদের দিয়ে স্ত্রী মিতুকে খুন করিয়েছেন বলে অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। বাবুল–মিতু দম্পতির বড় ছেলে আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শী। ছেলের সামনে ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরের জিইসি মোড়ে মিতুকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ওই সময় মিতু ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাচ্ছিলেন।

পুলিশ সুপার (এসপি) পদে পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সদর দফতরে যোগ দিতে ওই সময় ঢাকায় ছিলেন বাবুল আক্তার। স্ত্রীর মৃত্যুর পর তিনি বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, জঙ্গিবাদবিরোধী অভিযানে যুক্ত থাকায় তাঁর স্ত্রী খুন হয়ে থাকতে পারে। অবশ্য তিন সপ্তাহের কম সময়ে মামলার মোড় ঘুরে যায়। মিতু হত্যা মামলার তদন্ত করতে গিয়ে খোদ বাবুলের সম্পৃক্ততার তথ্য পায় পিবিআই। এরপর বাবুলসহ ৯ জনকে আসামি করে নতুন হত্যা মামলা করেন মিতুর বাবা মোশাররফ। ছেলে–মেয়েরা এখন মাগুরায় দাদা আবদুল ওয়াদুদ মিয়া ও চাচা হাবিবুর রহমানের কাছে আছে।