বাংলাদেশকে বিদায় করে সেমিফাইনালে পাকিস্তান

বাংলাদেশ মেইল::

বাংলাদেশকে বিদায় করে সেমিফাইনালে পাকিস্তান
অলিখিত নকআউটে পাকিস্তান জিতলো। বাংলাদেশের সেমিফাইনালে ওঠার সুযোগ হাতছাড়া হলো। সাকিব আল হাসানদের ৫ উইকেটে হারিয়ে সেমিফাইনালে বাবর আজমরা। ১৯তম ওভারের প্রথম বলে শান মাসুদ দৌড়ে দুটি রান নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন। ১৪ বলে ২৪ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। এর আগে ৫৭ রানের উদ্বোধনী জুটিতে বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান জয়ের ভিত গড়ে দেন। পাকিস্তানের পক্ষে ইনিংস সেরা ৩২ রান করেন রিজওয়ান, মোহাম্মদ হারিসের ব্যাট থেকে আসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩১ রান।

এই জয়ে ৫ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ভারতের সঙ্গে গ্রুপ-২ থেকে দ্বিতীয় সেমিফাইনালিস্ট হিসেবে নিজেদের জায়গা চূড়ান্ত করলো পাকিস্তান। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শীর্ষে ওঠার লড়াইয়ে বেলা ২টায় মাঠে নামবে ভারত। রোহিত শর্মারা সমান ৬ পয়েন্ট নিয়ে নেট রানরেটে দ্বিতীয় স্থানে। দক্ষিণ আফ্রিকার হারে এই গ্রুপ থেকে ভারত প্রথম দল হিসেবে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে।

ইফতিখারকে আউট করলেন মোস্তাফিজ

জয় থেকে ২ রান দূরে থাকতে পাকিস্তান হারালো পাঁচ নম্বর ব্যাটসম্যানকে। ১ রানে ইফতিখার আহমেদকে প্যাভিলিয়নে পাঠান মোস্তাফিজুর রহমান। ক্যাচ ধরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ১৮ ওভারে ১২৬ রানে ৫ উইকেট হারালো পাকিস্তান।

সাকিবের শিকার হারিস

মোহাম্মদ হারিসকে প্যাভিলিয়নে পাঠালেন সাকিব আল হাসান। জয় থেকে ৭ রান দূরে থাকতে আউট তিনি। ১৮ বলে ১ চার ও ২ ছয়ে ৩১ রান করে নাসুম আহমেদের ক্যাচ হন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান। ১৭তম ওভারে দুটি চার মেরে রানের গতি বাড়ান শান মাসুদ। এরপরই চতুর্থ উইকেট হারালো পাকিস্তান, তাদের সংগ্রহ ১২১ রান।

লিটনের সরাসরি থ্রোতে রান আউট নওয়াজ

মোহাম্মদ নওয়াজ হলেন রান আউট। নন স্ট্রাইকার্স এন্ডে লিটন দাসের সরাসরি থ্রোতে মাঠ ছাড়েন পাকিস্তানের ব্যাটসম্যান। ১১ বলে ৪ রান করেন তিনি। ৯২ রানে তৃতীয় উইকেট হারালো পাকিস্তান, লক্ষ্য ১২৮ রান।

রিজওয়ানকে ফেরালেন ইবাদত

মোহাম্মদ রিজওয়ানকে প্যাভিলিয়নে পাঠালেন ইবাদত হোসেন। ১২তম ওভারে পয়েন্টে রিজওয়ানকে নাজমুল হোসেন শান্তর ক্যাচ বানালেন বাংলাদেশি পেসার। ৩২ বলে ২ চার ও ১ ছয়ে ৩২ রান করেন পাকিস্তানি ওপেনার। ৬১ রানে ২ উইকেট হারালো পাকিস্তান। ১২ ওভারে ২ উইকেটের বিনিময়ে তাদের রান ৬৯।

নাসুম ভাঙলেন বাবর-রিজওয়ানের জুটি

১০ ওভারে ৫৬ রান করে পাকিস্তান। বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। অবশেষে পানি পানের বিরতির পরের ওভারে এ জুটি ভেঙে দিলেন নাসুম আহমেদ। টপ এজ হয়ে শর্ট থার্ডে মোস্তাফিজুর রহমানের ক্যাচ হন বাবর, ৩৩ বলে দুই চারে ২৫ রান করেন পাকিস্তানি অধিনায়ক। ভেঙে যায় ৫৭ রানের জুটি।

১০ ওভার শেষেও অপ্রতিরোধ্য বাবর-রিজওয়ান

দশম ওভারে বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের উদ্বোধনী জুটি পঞ্চাশ ছাড়ালো। ১০ ওভার শেষে কোনও উইকেট না হারিয়ে ৫৬ রান পাকিস্তানের। রিজওয়ান ২৮ বলে ৩১ রানে ও বাবর ৩২ বলে ২৫ রানে অপরাজিত।

পাওয়ার প্লেতে পাকিস্তানের ৩৪ রান

পাওয়ার প্লেতে পাকিস্তানকে ৩৪ রানের বেশি করতে দেয়নি বাংলাদেশ। নাসুম আহমেদ তার দুই ওভারে আঁটসাঁট বোলিংয়ে ৬ রান দিয়েছেন। মাঝে সাকিব আল হাসান দুটি চারে ১১ রান দেন। মোস্তাফিজুর রহমান এক ওভার করে দিয়েছেন ৭ রান। তাসকিন আহমেদ তার দুই ওভার শেষে ১০ রান খরচ করেছেন।

সহজ ক্যাচ মিস করলেন সোহান

মোহাম্মদ রিজওয়ান রানের খাতা খুললেন ছয় মেরে। এই রান করার সুযোগই তিনি পেতেন না যদি নুরুল হাসান সোহান ক্যাচ ধরতেন। তাসকিন আহমেদের আগের বলেই রিজওয়ানের ব্যাটে এজ হয়ে বল ছোটে সোহানের দিকে। ডাইভ দিয়েও বল গ্লাভসে জমাতে পারেননি বাংলাদেশের উইকেটকিপার। ২ ওভার শেষে কোনও উইকেট না হারিয়ে পাকিস্তানের স্কোর ১১ রান।

পাকিস্তানকে ১২৮ রানের লক্ষ্য দিলো বাংলাদেশ

জিতলেই সেমিফাইনাল। দক্ষিণ আফ্রিকার অপ্রত্যাশিত হারে পাওয়া এমন সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ পাকিস্তানকে বড় লক্ষ্য দিতে ব্যর্থ হলো। নাজমুল হোসেন শান্ত ছাড়া আর কোনও ব্যাটসম্যান প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। ৮ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ করেছে ১২৭ রান।

টস জিতে আগে ব্যাটিং নিয়ে বাংলাদেশ প্রথম উইকেট হারায় তৃতীয় ওভারে। ভারতের বিপক্ষে দারুণ ইনিংস খেলা লিটন দাস (১০) শাহীন শাহ আফ্রিদির বলে শান মাসুদের ক্যাচ হন। একাদশে ফেরা সৌম্য সরকার ও নাজমুল হোসেন শান্ত ধরে খেলে দলীয় স্কোর সত্তর ছাড়ান। ১১তম ওভারে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনে বড় ধরনের কাঁপন তোলে পাকিস্তান।

শাদাব খান পরপর সৌম্য (২০) ও সাকিব আল হাসানকে (০) ফেরান। রিভার্স সুইপ করে শান মাসুদের ক্যাচ হন সৌম্য, সাকিব বিতর্কিত এলবিডব্লিউর শিকার। শান্ত ৪৬ বলে পাওয়া হাফ সেঞ্চুরিকে বড় করতে পারেননি। দুইবার জীবন পাওয়া এই ব্যাটসম্যান আর দুই বল খেলে ফিরে যান। ৪৮ বলে ৭ চারে ইনিংস সেরা ৫৪ রানে তিনি ইফতিখার আহমেদের কাছে বোল্ড।

পরে কেবল আফিফ হোসেনের ব্যাটে আসে বলার মতো রান। আফ্রিদি তার দ্বিতীয় স্পেলে জোড়া আঘাতে মোসাদ্দেক হোসেন (৫) ও নুরুল হাসান সোহানকে (০) মাঠছাড়া করেন। পাকিস্তানের পেসার তার চতুর্থ উইকেট তুলে নেন তাসকিন আহমেদকে (১) বাবর আজমের ক্যাচ বানিয়ে। নাসুম আহমেদ শেষ ওভারে হন আউট। আফিফ ২০ বলে তিন চারে ২৪ রানে অপরাজিত ছিলেন, এই ইনিংস খেলার পথে এক হাজার টি-টোয়েন্টি রানের মাইলফলকে নাম লেখেন তিনি।

আফ্রিদি ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন। দুটি উইকেট শাদাবের। শেষ ওভারে আরও একটি উইকেট হারালো বাংলাদেশ ইনিংসের শেষ ওভারের পঞ্চম বলে নাসুম আহমেদকে ফেরান হারিস রউফ। বাংলাদেশের রান ৮ উইকেটে ১২৭। আফিফ অপরাজিত ছিলেন ২০ বলে ২৪ রান করে।

আফিফের এক হাজার রান

ইনিংসের শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে চার মেরে এক হাজার টি-টোয়েন্টি রান পূর্ণ করলেন আফিফ হোসেন। ৫৫তম ইনিংসে এই মাইলফলকে পৌঁছান তিনি।

আফ্রিদির চতুর্থ শিকার তাসকিন

শাহীন শাহ আফ্রিদি তার শেষ ওভারে পেলেন আরেকটি উইকেট। তাসকিন আহমেদকে ১ রানে বাবর আজমের ক্যাচ বানান পাকিস্তানি পেসার। ১৯ ওভার।